সিটিভি নিউজ।। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন,কুমিল্লা। সংবাদদাতা জানান ====
কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রোশা নলে পড়ে বাধ্য হয়ে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর কুমিল্লার প্রভাবশালী সাবেক এমপি, মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার সম্পদ ফেলে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার হিরিক চোখে পরার মত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশের ন্যয় কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে যখন একের পর এক মামলা শুরু হয়। তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা গাঢাকা দিয়ে আত্নগোপনে চলে যায়। আর কুমিল্লার সাবেক তিন মন্ত্রী ২৮ শে জুলাই দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। সাবেক এমপি, মন্ত্রীদের অনেকের পাসপোরটে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভিসা লাগানো ছিল। আবার কারো ভারতীয় ভিসা লাগানো ছিল বলে, আওয়ামীলীগের একাধিক নির্ভর যোগ্য সূত্রজানায়, যার ফলে সাবেক এমপি শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মীরা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অনেকে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনের পূর্বের সিম বন্ধ রেখে নতুন সিম ব্যবহার করেছেন, যার নাম্বার তাদের ব্যাক্তিগত বিশস্থ লোক ছাড়া কেউ জানে না। যারা পালিয়ে গেছেন তারা অনেকের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় আদালতে ও থানায়। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা থাকার সময় জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা পুলিশকে দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক নির্যাতন হত্যা কান্ড সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাঅভ্যহত রয়েছে। যারা পালিয়ে গেছেন তাদের অনেকের বিলাস বহুল বাড়িঘর ৫ আগস্ট আন্দোলনরত বিক্ষিপ্ত জনতা ভাংচুর করে আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আর তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ ভয়ে আত্নীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি হাজী বাহার , কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডাঃ তাসিন বাহার সূচী, কুমিল্লা মহানগর সেচ্ছা সেবক লীগের আহ্বায়ক জহিরুল হক রিংন্টু ,যুবলীগ আহ্বায়ক জি,এস শহিদ , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল , সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু , সাবেক অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তার পি এ মনি সিংহ রতন স্থানীয় সরকার মন্ত্রলয়ের সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, লাকসাম উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, সাবেক রেল পথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব তার স্ত্রী হনুফা আক্তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় , যারা আত্নগোপনে গেলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী বাহার, সাবেক রেল পথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, সাবেক অর্থ মন্ত্রী মুস্তফা কামাল, মোহাম্মদ শামীম আহমেদ ,ডাঃ প্রান গোপাল দও, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অধ্যাক্ষ আব্দুল মজিব,আলহাজ আবু জাহের ,সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, এ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় কোনো নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়নি।