সিটিভি নিউজ।। বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর সংবাদদাতা জানান =====
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের বেওয়ারিশ লাশের সারি থেকে আল মামুন আমানতের (৩৮) মরদেহ নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিন পর শনাক্ত করেন স্বজনরা। সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত লতিফ সরকারের একমাত্র ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় উল্লাসে মেতেছিল সারাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই বিজয় মিছিলে শামিল হতে ৫ আগস্ট সোমবার বিকেলে সাইনবোর্ড এলাকায় যান আল মামুন আমানত। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় যাওয়ার পথে আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর পর থেকে আমানত নিখোঁজ ছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজির ৮ দিন পর ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের বেওয়ারিশ লাশের সারি থেকে তার মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
নিহতের চাচাত ভাই শাহিন সরকার বলেন, আল মামুন আমানত নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় হুশিয়ারী ব্যবসা করতেন। ৫ আগস্ট সোমবার মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয় মিছিলে গিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় আমানত। এ সময় তার মাথার অংশ থেতলে দিয়ে সড়কে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। ঘটনার পর থেকে তার আর কোন খোঁজ-খবর পাইনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে বেওয়ারিশ হিসেবে রাখা লাশের মধ্য থেকে আমানতের মরদেহ শনাক্ত করি। বিভিন্ন কার্যক্রম শেষে ১৬ আগস্ট শুক্রবার নারায়নগঞ্জ থেকে তার জন্মস্থান ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এনে দাফন করা হয়।
শাহিন সরকার আরো বলেন, আমার ভাইয়ের ২ বছর ও ৭ বছরের দু’টি অবুঝ কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিতাহারা হয়ে গেছে তারা। সরকারের কাছে এ এতিম শিশু দু’টির দায়িত্ব নেওয়ায় জন্য দাবি জানাই। আর যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। সংবাদ প্রকাশঃ ১৯-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=
আল মামুন আমানত বেওয়ারিশ লাশের সারি থেকে আমানতের লাশ পাওয়া যায়
আরো সংবাদ পড়ুন