Monday, July 8, 2024
spot_img
More

    বুড়িচংয়ে কামার পল্লীতে নেই ঈদের আমেজ ।। (আধুনিক মেশিনে তৈরি সরঞ্জামে বাজার ভরে যাওয়ায় কামার শিল্পে পড়েছে ভাটা)

    সিটিভি নিউজ।। গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির,সংবাদদাতা বুড়িচং, কুমিল্লা।।===============কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই এই সময়টায় কামার পল্লীগুলোতে বিরতিহীনভাবে বাজতে শোনা যায় হাতুড়ি পেটায় শব্দ। টুংটাং শব্দে মুখরিত থাকত কামার পল্লীগুলো। তবে এ বছর কুমিল্লার বুড়িচং কামার পল্লীগুলোতে আগের সেই হাতুড়ি শব্দ নেই।

    সময়ের পরিক্রমায় আর আধুনিক মেশিনে তৈরি সরঞ্জামে বাজার ভরে যাওয়ায় কামার শিল্পে পড়েছে ভাটা। যার ফলে এবার এই উপজেলার কামার পল্লীতে নেই ঈদের আমেজ। যদিও একসময় কোরবানির ঈদের সপ্তাহ দুয়েক আগ থেকেই হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখরিত থাকতো কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কামার পাড়া। পেশায় ভাটা পড়ায় দিন দিন কামার শিল্পীরা বংশপরম্পরায় পাওয়া পেশা ছেড়ে খুঁজে নিচ্ছেন অন্য পেশা। এতে এই শিল্পটি হারানোর মুখে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামার পাড়া ঘুরে কামার শিল্পীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কামার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদের আর মাত্র ৪/৫ দিন বাকি থাকলেও কামার দোকানগুলোতে নেই ক্রেতাদের ভীড় । বছরে একবারই ভালো ব্যবসার আশায় বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা কামার শিল্পীরা ক্রেতাদের আসার প্রহর গুনছেন। আশানুরূপ বিক্রি নেই বলে মন ভালো নেই কামার শিল্পীদের। কামার শিল্পীরা জানান, পৃথিবী আধুনিকায়নের ফলে সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। মেশিনের আওতায় এসেছে অনেক শিল্প। এখনকার সমসাময়িক বাজার আধুনিক মেশিনে তৈরি ছুরি, দা, বটি, চাপাতি, টাক্কলে ছেয়ে যাওয়ায় কামার শিল্পে ভাটা পড়েছে। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত আধুনিক এসব পণ্য সহজলভ্য হওয়ায় এখন আর কেউ অর্ডার দিয়ে কামারের দোকান থেকে এসব পণ্যসামগ্রী খুব বেশি একটা তৈরি করে না। যে কারণে এই পেশার সঙ্গে জড়িত কামার শিল্পীরা কেউ ভালো নেই। অনেকেই এ পেশা বদলে চলে গেছেন ভিন্ন পেশায়। তবে এখনো যারা এই পেশা ধরে আছেন তারা কেবল বংশপরম্পরায় পাওয়া পেশার সম্মানার্থে এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে আছেন।

    উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা শংকুচাইল বাজারের কামার শিল্পী প্রমুদ চন্দ্র কর্মকার (৭২) বলেন, বংশপরম্পরা ধরে রাখতেই এখনো এ পেশায় জড়িয়ে আছি। বাজারের আধুনিক পণ্যসামগ্রীর প্রসারে আমাদের তেমন বিক্রি নেই। আমি ছোট বেলায়ও দেখেছি, আমার বাপ-চাচারা এরকম ঈদ মৌসুমে শ্বাস ফেলার ফুরসত পেত না। দিন-রাত টানা পরিশ্রম করেও ক্রেতার চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হতো। তবে বর্তমান বাজার এসব আধুনিক পণ্যসামগ্রী সহজলভ্য হওয়ায় আমাদের বেচা কেনায় ভাটা পড়েছে। আমার সাথের অনেক কামার দোকানী এখন অন্য ব্যবসা করছেন। কেউ বা আবার জড়িয়ে পড়ছেন অন্য পেশায়।

    উপজেলার কালিকাপুর বাজারের হরিপদ কর্মকার (অনেকটা অসুস্থ) কামার শিল্পী জানান, আধুনিক যন্ত্রপাতির দখলে বাজার হওয়ায় এখন আর কদর নেই কামার শিল্পীদের। সারাবছর যেমন তেমন এই ঈদেও তাদের হাতে তেমন কাজ নেই। দিন দিনই তাদের ব্যবসার পরিসরটা ছোট হয়ে আসছে। সংবাদ প্রকাশঃ ১৪-৬-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments