সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়েরপূর্বক তদন্ত চলছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেহেদী হাসান নামে এক কর্মচারির বিরুদ্ধে ওই তদন্ত চলছে।
উক্ত কর্মস্থলে প্রায় ৮ বছর কর্মরত থাকা অবস্থায় ইউএফপিএ (ক্যাশিয়ার) মেহেদী হাসান এর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিল ভাউচারে কর্মকর্তার স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকলেও, বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ টি অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করছেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুই মেয়াদে (২০২৩ সালের জুন মাস থেকে আগষ্ট মাসের মধ্যে) কর্মরত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রনজিত সেন ও ডাঃ কামরুন্নাহার এর স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে ক্লিনিক এবং নন ক্লিনিকের ২৪ জন কর্মচারীর শান্তি বিনোদন ভাতার ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬১০ টাকা, ৩ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মেহেদী হাসান, পার্থ প্রতীম দেব ও দেলোয়ার হোসেন এর ভ্রমণ ভাতার ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাবেক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুন্নাহারের টিএ/ ডিএ বিলের ১৩ হাজার টাকার স্থলে আরো ৬ হাজার ২৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৯ হাজার ২৫০ টাকাসহ মোট ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৬০ টাকা আত্মসাতের তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ক্যাশিয়ার) পদের এবং বর্তমানে স›িদ্বপ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত মেহেদী হাসান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে টাকা আত্মসাতের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত রোববারে (২ জুন) তদন্ত কমিটির জেরারর মুখে আমি সকল সত্য প্রকাশ করেছি এবং আত্মসাৎকৃত সমস্ত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে দিছি।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) ডাঃ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি এ কর্মস্থলে নতুন যোগদান করেছি। পূর্বের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও তদন্ত চলছে।
সাবেক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রনজিত সেন জানান, আমি দেবীদ্বার কর্মস্থলে থাকাকালীন সময়ে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ক্যাশিয়ার) পদে থাকা মেহেদী হাসান আমার স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে ৩ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারীর ভ্রমণ ভাতার ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমি ওই কর্মস্থলে থাকাকালীন সময়ে অপর ঘটনায় ক্লিনিক এবং নন ক্লিনিকের ২৪ জন কর্মচারীর শান্তি বিনোদন ভাতার ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬১০ টাকার বিল তৈরী করলেও আমি চলে আসার পর পরবর্তী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতী করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
তবে এ ব্যপারে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাবেক ডাঃ কামরুন্নাহার জানান, স্বাক্ষর জ¦ালিয়াতী করে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন। আমি এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারবনা। আমি উক্ত কর্মস্থলে আড়াইমাস দায়িত্ব পালন করেছি।
কর্মকর্তার স্বাক্ষর জ¦ালিযাতী করে অর্থ আত্মসাতের ৩টি অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাহেদা হোসেন জানান, আমি গত রোববার (২ জুন) ঘটনাস্থল সরেজমিনে যেয়ে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে জমা দিয়েছি।
কুমিল্লা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেহেবুব মোরশেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। এখনো ওই দদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাইনি। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমান পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।সংবাদ প্রকাশঃ ০৭-৬-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=
দেবীদ্বার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ঃ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১৩ লক্ষাধীক টাকা আত্মসাৎ
আরো সংবাদ পড়ুন