সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি===============
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্রেস্ট ফিডিং সহায়তা ও ওকেতানি ল্যাকটেশন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পুষ্টিসেবা (এনএনএস) ব্রেষ্ট ফিডিং সহায়তা ও ওকেতানি ল্যাকটেশন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক শিশু পুষ্টি উন্নয়নে গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রশিক্ষণ কক্ষে এর আয়োজন করা হয়।
এতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন এর সভাপতিত্বে প্রধাণ অতিথি ছিলেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) এর সহকারী পরিচালক (জাতীয় পুষ্টি পরিষদ) ডা. মতিউর রহমান। প্রশিক্ষণ প্রধান করেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) এর মেডিকেল অফিসার (জাতীয় পুষ্টি পরিষদ) ডা. কামাল হোসাইন।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, ডা. তাসলিমা বেগম, ডা. হাসিনা সুলতানা, ডা. আবু বকর সিদ্দিকী, ডা. মেহেদী হাসান সারকার, ডা. তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, ডা. শঙ্খজিৎ সমাজপতি, ডা. অনজিলা আফরিন, ডা. গিয়াস্ উদ্দিন, ডা. তানজিনা ভূইয়া, ডা. আশিকুর রহমান, ডা. আফরোজা ফাতেমা, ডা. শারমিন সুলতানা, ডা. ফাহমিদা সুলতানা মিলি, ডা. উম্মে সালমা মৌ, ডা. কামরুন নাহার, ডা. সুমি আক্তার, ডা. তাছলিমা আজিজ, ডা. সোহেল রানা, সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকসানা আক্তার, শামসুন নাহার বেগম, কুহিনুর আক্তার প্রমূখসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার অন্যতম নিয়ামক হল মাতৃদুগ্ধ। জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো, ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশপাশি ঘরে তৈরী বাড়তি খাবার নিশ্চিত করা হলেই শিশুর যথাযথ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা যায়। মাতৃদুগ্ধ দান সম্পর্কে পরামর্শ দানের মাধ্যমে মায়েদের উদ্বুদ্ধ করে শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির সিংহভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু শিশুকে সঠিকভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম না জানার ফলে মায়েরা বিভিন্ন রকম স্তনের সমস্যার সম্মুখীন হন সেক্ষেত্রে পরামর্শদান, অবস্থান ও সংস্থাপন শিখানো ও “ওকেতানি স্তন ম্যাসাজ”-এর মাধ্যমে মায়েদের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়।
বক্তারা বলেন, মায়ের স্তনে দুধের পরিমাণ ও গুণগতমান বৃদ্ধির জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকক্ষেত্রে নবজাতকের স্তন চোষার ক্ষমতা কিছুটা কম থাকতে পারে এবং শিশুর জন্মের প্রথম তিন দিনে মায়ের স্তন ফোলা, স্তন প্রদাহ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। “ওকেতানি স্তন ম্যাসাজ”-এর মাধ্যমে সহজেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়।
বক্তারা আরও বলেন, ওকেতানি কৌশল সঠিকভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে প্রসূতী মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে যে সব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন যেমন দুধ যথেষ্ট তৈরি না হওয়া, স্তনের কোন সমস্যা যেমন প্রদাহ, কোন কারনে দুধের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া, এগুলি অতিক্রম করা সম্ভব। এই কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে মা আত্নবিশ্বাস ফিরে পান এবং আরাম বোধ করতে পারেন। ওকেতানি কৌশলের যথাযথ প্রয়োগ ও প্রচার বুকের দুধ খাওয়ানোর পরিস্থিতি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সংবাদ প্রকাশঃ ০৪-৬-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=
ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্রেস্ট ফিডিং সহায়তা ও ওকেতানি ল্যাকটেশন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ
আরো সংবাদ পড়ুন