সিটিভি নিউজ।। কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে পূর্বের শক্রতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪জন। আহতরা কুমিল্লা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় উপজেলার পর্বধৈইর পূর্ব ইউনিয়ন বাজার মহেশপুর গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে টানা ব্রিজের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মহেশপুর গ্রামের ইউপি’র সদস্য আবদুল রহিম সরকারের নেত্রীত্বে ২০ থেকে ২৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের পকেটে থাকা টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাজার মহেশপুর গ্রামের মৃতঃ বাতেন সরকার ছেলে আবদুল রহিম মেম্বারের নেতৃত্বে মৃতঃ বাতেন সরকার ছেলে মতিন সরকার, রহমান সরকার, করিম সরকার,রশিদ সরকার, হাসেম সরকার ছেলে সামাদ সরকার, কাশেম সরকার, মাওলা সরকার, সাত্তার সরকার ছেলে নাজমূল সরকার, খুরশিদ সরকার, মৃত তাহের মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা, রফিক মোল্লাসহ ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ এই হামলা চালিয়েছে।
আহতরা হলো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধৈইর পশ্চিম ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত নোয়াব সরকার ছেলে খোরশেদ আলম,মৃতঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান, আব্দুল মজিদ ছেলে কবির হোসেন ও রব্বান সরকার ছেলে মানিক সরকার।
আহত ব্যক্তিদের স্বজনরা জানিয়েছেন, আমাদের মহিশপুর গ্রামের তিন ফসলি কৃষি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে আবদুল রহিম সরকার মেম্বার জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা পাঁয়তারা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।এর আগেও হামলা কারিরা জোড় পূর্বক জমি দখলের চেষ্টার করলে বিজ্ঞ আদালত ও থানায় একাধিক অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার সকালে দেবীদ্বার উপজেলার ছোট শালঘর গ্রামের বুড়ি নদীর পাড়ে অসুস্থ্য মানিক মিয়াকে দেখা শুনার পর বাড়ী ফেরার পথে টানা ব্রীজের উপর ২০ থেকে ২৫জন আগে থেকে অতপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা রড, ছুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ব্যপক মারপিট করেন। ঘটনাস্থলেই ৪জন মুমূর্ষু হয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে ধরাধরি করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় তাদের পকেটে থাকা বিক্রিয়ের টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনার পর থেকে আব্দুল রহিম সরকার মেম্বার ও তার লোকজন আলম সরকার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা ফের কোনো অঘটনের শঙ্কা ওআতংঙ্কের মাঝে আছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
নাম না প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারী আবদুল রহিম সরকার মেম্বার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছে।এই বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে সে প্রায় মানুষের জায়গা জমি দখল করে নেয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল রহিম সরকার বিভিন্ন এর বক্তব্য জানতে একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আবদুল সামাদ বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদ প্রকাশঃ ০১-৬-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=