সাবেক এমপির অনুসারীরা পঙ্গপালের মতো ছুটছেন এমপি জাহাঙ্গীর আলমের দিকে
মুুরাদনগরে গ্রুপিং মুক্ত আওয়ামী লীগই বেশি শক্তিশালী
বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীরের কোন প্রতিপক্ষ নেই
সিটিভি নিউজ।। এম ফয়জুল ইসলাম, মুরাদনগর(কুমিল্লা)প্রতিনিধি:========
কুমিল্লায় ক্ষমতার দ্ব›দ্ব আর আধিপত্যের রেষারেষিতে দীর্ঘ দশ বছর দুই ভাগে বিভক্ত ছিল মুরাদনগর উপজেলার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় পদ নিয়ে ছিল নানা বৈষম্য। ত্যাগীরা মূল্যায়ন পায়নি এমন অভিযোগও ছিল তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের।
কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ধীরে ধীরে পাল্টে যায় মুরাদনগরের চিত্র। (কুমিল্লা-৩) থেকে জাহাঙ্গীর আলম সরকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হয়ে মাত্র ৪ মাসে দলীয় সকল ভেদাভেদ ও বৈষম্যকে দূরে রেখে একাট্টা করেছেন মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে এক ছাতার নিচে আনতে বুকে টেনে নিচ্ছেন শত্রুমিত্র সবাইকে। সাবেক এমপির অনুসারীরা দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন বর্তমান এই সাংসদের ছায়াতলে। তিনিও বৈরিতা ভুলে সাদরে গ্রহণ করছেন সকল নেতা-কর্মীকে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর যারা ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের লোক হিসেবে উপজেলায় পরিচিত ছিলেন এখন সবাই বর্তমান সাংসদ ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের অনুসারী। দীর্ঘদিন মুরাদনগর আওয়মী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। যার কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল রুগ্ণ। মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের একটি অফিস পর্যন্ত ছিল না। বর্তমান এই সাংসদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও গতিশীলতায় মুরাদনগর উপজেলার আওয়ামী লীগ এখন এক ও অভিন্ন।
এ নিয়ে কথা হলে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, বিগত ১০ বছর মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল অতিদুর্বল। বেশির ভাগই ছিল পকেট কমিটি। দুই ভাগে বিভক্তি ছিল আওয়ামী লীগ। রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হতো একক সিদ্ধান্তে। নেতা-কর্মীরা মূল্যায়ন পায়নি। প্রকৃত আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে ছিল না ওই নেতার যোগাযোগ। বৈষম্য আর নানা ভাগে বিভক্ত ছিল তৃণমূল। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দলের স্বার্থে, মুরাদনগরের উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যারা নির্বাচনে আমার বিরোধিতা করেছেন তাদের সাদরে গ্রহণ করছি। একটি অহিংস তিলোত্তমা মুরাদনগর গড়তে চেষ্টা করছি।
এদিকে সাবেক এমপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে মুরাদনগর আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। তৃণমূল নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন না। কোন দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে তাকে পাওয়া যায় না। নির্বাচনের পর মহান ভাষা দিবস ও জাতীয় দিবস ২৬ শে মার্চে তাঁকে মুরাদনগরে আসতে দেখা যায়নি।
নেতাকর্মীদের বিশ্বাস ছিল ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে তার অনুসারীদের পাশে থাকবেন। কিন্তু মাঠের চিত্র উলটো। সাবেক এমপি এই মুহূর্তে মাঠ ছেঁড়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত। কর্মীরা তাকে না পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরতে বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর আলম সরকারের উপরই ভরসা রাখছেন। সংবাদ প্রকাশঃ ২২-০৫-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=