সিটিভি নিউজ।। ফরহাদ রহমান কক্সবাজার সংবদদাতা জানান===
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা নানাবিধ অভিনব পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে দেশের যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ কর্তৃক দায়িত্বাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ কাঞ্জরপাড়া এলাকায় কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১০ মে ২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ১৭.৪৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানিক দল হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাঞ্জরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার মাথায় পৌঁছানো মাত্রই উক্ত স্থানে অবস্থানরত কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী দৌড়ে পলায়নের চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সাথে থাকা কয়েকজন মাদক কারবারী কৌশলে দ্রুত দিক-বিদিক পলায়ন করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর দেহ ও তার হেফাজতে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়- মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৩৮), পিতা-মৃত মোহাম্মদ হোছাইন, মাতা-মৃত ছলেমা খাতুন, সাং-মৌলভী বাজার পূর্বপাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানায়, র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা তার সহযোগী এবং তাদের সমন্বয়ে সে দীর্ঘদিন যাবত মাদকদ্রব্য ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। আরো জানা যায় যে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন অভিনব পন্থা অবলম্বন করে মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তারা পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য ইয়াবার বড় বড় চালান বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনায়ন এবং অর্থের বিনিময়ে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মাদক কারবারীদের নিকট নানাবিধ কৌশলী পন্থায় সরবরাহ করতো। অদ্য মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্তে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মাদক বিরোধী অভিযানে উপরোল্লিখিত ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।সংবাদ প্রকাশঃ ১১–০৫–২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=