সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি//=============
দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানী করায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানীর অভিযোগ এনে সবুজ মিয়া নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ মাঠে মোটর চালক লীগ উপজেলা সভাপতি আব্দুল আজিজ খান ওই সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ খান বলেন, মোবাইল ফোনে যশোর জেলার অশি^নী বিশ^াস নামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক যুবকের সাথে কুমিল্লার মৌসুমী আক্তার নামে মুসলিম এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অশি^নী কুমার বিশ^াস ওরোফে মো. মিলন মিয়া (৩২) যশোর জেলার কোতয়ালী থানার ফতেপুর গ্রামের মন্টু বিশ^াসের পুত্র এবং মৌসুমী আক্তার (২৫) কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের কণ্যা।
হিন্দু যুবক অশি^নী বিশ^াস হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্মগ্রহন করে মো. মিলন মিয়া নামে গ্রহনপূর্বক ওই মুসলিম যুবতী মিলন আক্তারকে বিয়ে করেন। প্রায় দু’বছর সংসার জীবন অতিবাহীত করার পর মৌসুমী আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং আর স্বামীর কাছে যাবেনা বলে তার স্বামীকে জানিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় গৃহবধূ মৌসুমী আক্তারের প্রতিবেশী শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র সবুজ মিয়া মিলন মিয়াকে দিয়ে তার স্ত্রী অপহরন এবং ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে স্ত্রী, ম্বশুর, ভায়রাভাই ও প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ খানকে চাচা পরিচয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ তদন্তস্বাপেক্ষে ওই অপহরনের ঘটনার কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে মিলন মিয়া জানান, আমি আজিজ খান নামে কাউকে চিনিনিা, সবুজের সাথে আজিজ খানের পূর্ববিরোধ ছিল। আমাকে বাদী করে থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে আজিজ খানকে চাচা পরিচয়ে এবং ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে, যা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সবুজ জানায় আজিজ খানের সাথে আমার পূর্ব বিরোধ রয়েছে সত্য এবং আজিজ খানই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করেছে। অপহরন মামলা করেছে মিলন মিয়া অথচ আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্য প্রনোদীত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মজিদ মিয়া, মো. আব্দুল কুদ্দুস, আমির হোসেন, তাজুল ইসলাম প্রমূখ।
স্থানীয় এলাহাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, স্বামী- স্ত্রীর বিরোধ ছিল, তা নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। তবে আব্দুল আজিজ খানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, অপহরনের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।