৫ দফা দাবিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি: সেবা প্রত্যাশিদের দুর্ভোগ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিভি নিউজ।।     মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক, কুমিল্লা প্রতিনিধি ।======। জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ৫ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা জেলার সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৪ দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মবিরতিতে কুমিল্লা জেলার সকল উপজেলার কর্মকর্তা, কর্মচারীর অংশগ্রহনে প্রধানমন্ত্রীর সমীপে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কুমিল্লা জেলা কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যান পরিষদের সভাপতি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলীর নেতৃত্বে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। অপরদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে সেবা প্রত্যাশিরা চরম দুর্ভোগে পড়ে।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ এর আলোকে প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) পদ আপগ্রেডেশন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবয়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পদ আপগ্রেডেশন, সচিবালয়ের ন্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সকল শূন্যপদ পদোন্নতি/চলতি দায়িত্ব/নিয়োগের মাধ্যমে পুরণসহ ৫ দফা দাবীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ বিগত ৯ থেকে ১০ বছর যাবত আলোচনা সভা, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধমে সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করে আসছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক বলেন, সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণপাড়ায়ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ কর্মসুচি পালন করা হয়। আমাদের দাবী নিয়ে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে একমত প্রকাশ করলেও দাবী বাস্তবায়নে কর্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
চান্দিনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেবেশ চন্দ্র দাস বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ ও পূনর্বাসন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এ্যাক্ট জাতীয় সংসদে পাশ হয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের যে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ২১০০ শতাব্দির যে ডেল্টা প্ল্যান তা অর্জনে দুর্যোগ ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু ২০১২ সালে যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এ্যাক্ট সংসদে পাশ হয়েছে তা বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ব্যর্থ হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলেই জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং ইতিমধ্যে ইতিমধ্যে আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বাস্তবায়নে সমর্থ হয়েছি। আজকের এ আন্দোলন যদি সফল বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে এগিয়ে যাবে।সংবাদ প্রকাশঃ  ১৯-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email