সোনারগাঁয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০ : ভাংচুর ও লুটপাট

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সোনারগাঁয়ের বারদি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামীলীগের দুই গ্রপের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনার পর থেকে পুরো বারদি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের বারদি বাজার এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও নাজমুল হক পক্ষের সাথে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধের কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকালে জহিরুল হক ও নাজমুল পক্ষের তাজুল ইসলাম জাকির পক্ষের হাসানকে মারধর করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে। এক পর্যায়ে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল হক ও নাজমুলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়।
পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, টেঁটা, রামদা, লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জাকির পক্ষের জাকির সরকার,জামাল, মাসুম সরকার,বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, সামসুল, হুমায়ুন সরকার ও হাসান।
জহিরুল পক্ষের তাইজুল ইসলাম, হযরত আলীসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জাকির সরকার, জামাল, সামসুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর বারদি বাজারে জহিরুল হকের লোকজন উত্তেজিত হয়ে জাকির সরকারের পক্ষের মামুন সরকার, মাজহারুল সরকার, হাসান, জাহাঙ্গীরসহ ৫/৬ জনের দোকান ভাংচুর লুটপাট চালায়। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ২ জনের বাড়িঘর ভাংচুর করে।
জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবুর অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা নাজমুল হককে নির্বাচন প্রভাবিত করে নির্বাচিত করায়। পরবর্তীতে বারদি বাজারে আমাদের লোকজনকে কোনঠাসা করে রাখে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট,বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। সংষর্ষের ঘটনায় আমাদের ১৫জন আহত হয়।
বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বারদি মারকার্জ মসজিদের পাশে একটি সরকারী পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে মাছ চাষ করে মসজিদের আয় ও ব্যয় নির্বাহ করা হয়।
সম্প্রতি জাাকির সরকারের পক্ষের আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান, মামুন নামের তিনজন ওই পুকুর লিজ নিতে উঠে পড়ে লাগে। এতে কথাকাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন,সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৩-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email