সেই বিচারকের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের আরেক আদেশ

সিটিভি নিউজ।।     ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশকে মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে রোববার (১৪ নভেম্বর) প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। দুই বছর আগেও বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আরেকটি মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করেছিলেন। সেই ঘটনায় তাকে তলব করেছিল আপিল বিভাগ। সোমবার (১৫ নভেম্বর) ওই ঘটনার আদেশ হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ আদালত কী আদেশ দিয়েছেন সেটি জানা যায়নি।

গত ১১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার একটি ধর্ষণ মামলায় সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারকের এ বক্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়। সমালোচনার মুখে রোববার প্রধান বিচারপতি বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন।

এরপর সোমবার দুই বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়া নিয়ে কামরুন্নাহারের তলবের আদেশের বিষয়টি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে।

সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও আসলাম শিকদার নামে এক আসামিকে গত বছরের ২ মার্চ জামিন দিয়েছিলেন বিচারক কামরুন্নাহার। কোন এখতিয়ার বা ক্ষমতাবলে ওই আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন, সে ব্যাখ্যা জানতে তখন তলব করা হয় কামরুন্নাহারকে।

গত বছর ১২ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাকে ওই বছরের ২ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এদিন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ‘রাষ্ট্র বনাম আসলাম শিকদার’ নামের মামলাটি তালিকার শুরুতেই ছিল।আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আদেশের বিষয়ে আপিল বেঞ্চের বিচারপতিকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমাদের কিছু বলেননি। আমি কোর্টকে জিজ্ঞাসা করলাম, প্রধান বিচারপতি বললেন, না এটা এখন আপনারা জানবেন না।’

২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার সাবেক অনুষ্ঠান প্রযোজক আসলাম শিকদারের বিরুদ্ধে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন এক নারী। ওদিনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরে এ মামলায় ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট আসলাম শিকদারকে জামিন দিলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে দেন। পরে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানোর জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

চেম্বার আদালতে জামিন স্থগিত থাকার পরও আসামি আসলামকে জামিন দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক কামরুন্নাহার। সে সময় আসলাম শিকদারের জামিন পাওয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের নজরে এনেছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তখন আপিল বিভাগ বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথি আনেন। নথি আসার পর তা পর্যালোচনা করেন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা। এরপর বিচারক কামরুন্নাহারকে তলবের আদেশ দেন আপিল বিভাগ।    সংবাদ প্রকাশঃ  ১৫-১১-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ