সিদ্ধিরগঞ্জে মাদ্রাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে সাড়ে ৪ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে আটকে রাখার অভিযোগ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জে মাদ্রাসার বকেয়া বেতনের জন্য দুই শিশু শিক্ষার্থীকে সাড়ে ৪ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে কক্ষে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের আদমজী নতুন বাজার এলাকার দারুল আরকাম তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আটকে রাখা শিক্ষার্থীরা হলো, ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র মো. নাঈম (৭) ও একই শ্রেনীর ছাত্রী তার ছোটবোন জেসমিন।
ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর পিতা জামাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে অবহিত করে মাদ্রাসায় গিয়ে তার দুই সন্তানকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর্জা শহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর পিতা জামাল হোসেন জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়িক সমস্যার কারণে আমার দুই সন্তানের ৬ মাসের বেতন বকেয়া পরে। বেশ কিছুদিন যাবৎ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল টাকার জন্য মোবাইল ফোনে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
আমি তাকে কয়েকদিন আগে কিছু টাকা দিয়ে অবশিষ্ট টাকা রমজানের ঈদের পূর্বে পরিশোধ করব বলে আশ্বাস দেই। সোমবার দুপুর দেড়টায় আমার বড় মেয়ে আমার দুই ছেলে মেয়েকে মাদ্রাসা থেকে আনতে গেলে প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান টাকা ছাড়া তাদেরকে যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে তাঁরা আমার দুই শিশু সন্তানকে মাদ্রার একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে আমি মাদ্রাসা থেকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদেরকে উদ্ধার করি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে থানায় আসতে বললে তারা থানায় এসেছে।
প্রাথমিকভাবে তারা জানায়, ইফতারের জন্য তারা বাহিরে গিয়েছিলো। ওই সময় কেউ না থাকায় তাদেরকে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়।
বকেয়া বেতনের জন্য তালাবদ্ধ করে রেখেছে ওই দুই শিশু শিক্ষার্থীর অভিবাবকের অভিযোগ সম্বন্ধে বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১২-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email