সিদ্ধিরগঞ্জে অটো চালককে গলা কেটে হত্যা

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুজন মিয়া (৪৫) নামে এক অটো চালককে গলা কেটে হত্যা করে সড়কের উপর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। তবে দূর্বৃত্তরা সুজন মিয়াকে হত্যা করলেও তার সাথে থাকা অটো রিকশাটি নিয়ে যায়নি। লাশের পাশেই ছিলো অটো রিকশাটি।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে স্থানীয়রা লাশ দেখে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ অটো রিকশাটি থানায় নিয়ে যায়। তবে নিহতের সাথে থাকা মোবাইল ও কোন টাকা পয়সা পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি ঘটে চিটাগাং রোডের ওয়াপদা কলোনীর মোড় এলাকায়। ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে কিংবা পূর্ব শত্রুতার জেরে রোকন খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুজন মিয়ার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. হানিফ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত সুজন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামের সুরুজ পাটোয়ারির ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির শাহী মসজিদ এলাকায় মনসুর মাস্টারের বাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে সুজনের লাশ হস্তান্তরের পর বাসায় নিয়ে গেলে সেখানে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার বাতাস। সান্ত¡নার কোনো ভাষা ছিল না কারো।
নিহতের ছেলে মো. শুভ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাবা গ্যারেজ থেকে মিশুক নিয়ে বের হন। শুক্রবার ভোরে তার বাবার বন্ধু সোহেল তাদের খবর দেন যে তার বাবা খুন হয়েছে। এরপর তারা থানায় গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন।
শুভর দাবি ছিনতাইকারীরা মিশুক ছিনিয়ে না নিলেও তার বাবার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, সুজন মিয়ার লাশের পাশে তার অটো রিকশাটি থাকায় অটো পুলিশ এটিকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যাকান্ড বলতে পারছে না।
আবার এমনও হতে পারে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সুজনকে হত্যার পর ঘটনাস্থলে মানুষজন চলে আসায় ঘাতকরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটন ও অপরাধিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৭-১০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ