সাতকানিয়ার চরতি ইউপি নির্বাচনে : এক ডজন চেয়ারম্যান প্রাথী

সিটিভি নিউজ।।   শান্তনু হাসান খান (বিশেষ প্রতিনিধি) ==
করোনা ভাইরাসের প্রভাবের মধ্যে সামাজিক দূরত¦ বজায় রেখে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ইতি মধ্যেই নির্বাচন কমিশন সমাপ্ত করেছেন। মার্চ থেকে শুরু করে জুন মাসের শেষ নাগাদ ধারাবাহিক ভাবে গত বারের মত ৫ ধাপে নির্বাচন শেষ করতে চান স্থানীয় মাঠ প্রশাসন। দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান। ২০১৬ সালে ২২ শে মার্চ শুরু হয়ে ৪ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করে সরকার। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে পরবর্তী পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আর সেই আলোকে চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার ৫টি উপজেলায় ১১২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামের মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন সি.ই.সি। এর মধ্যে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, আনোয়ারা ও বাশখালী অন্যতম। সাতকানিয়ার ১৭টি ইউপি নির্বাচনে কমপক্ষে দেড়শতাদিক প্রার্থী রয়েছেন শুধু নৌকার টিকেটের জন্য।
সে আলোকে চরতির বর্তমান চেয়ারম্যান- ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম। তিনি ৩ মেয়াদের জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। গেলোবারে নির্বাচনে কারাগারে বসেই নর্বিাচিতি হন। আগামী নির্বাচনে তিনি থাকবেন না। তবে আওয়ামী লীগের অনেকেই প্রার্থীতার জন্য এখন থেকে মাঠ গুছাচ্ছেন। এর মাঝে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকিম চৌধুরী, তাঁতীলীগের রুহুল্লাহ চৌধুরী, সেচ্ছাসেবক লীগের দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক খাঁন, এডভকেট প্রদিপ কুমার চৌধুরী, দক্ষিণ চট্টগ্রাম তাঁতীলেিগর মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ, সোহেল মাহমুদ মনজুর, চৌধুরী গিয়াস উদ্দিন খাঁন মিন্টু, মাইনুদ্দিন চৌধুরী ও আমিনুল ইসলাম অন্যতম।

এলাকার সাংসদ ডা. নদভীর নিকট আত্বীয় রুহুল্লাহ চৌধুরী এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিবেন। তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ^াস- অতীতের কর্মকান্ড আর জনগনের গ্রহনযোগ্যতার কারণে আমাকে শিলেকশন কমিটি ইনশাল্লাহ দল থেকে নমিনেটেড করবেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকিম চৌধুরী এর আগে ২ বার ইউপি নির্বাচনে মাত্র ৮২ ভোটের ব্যবধানে নর্বিাচিত হতে পারেননি। এবার শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাইবেন। অপর প্রার্থী এডভকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীরও প্রত্যাশা অনেক। সেচ্ছাসেবক লীগের আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন ইউপি মেম্বার হিসাবে যথেষ্ট উন্নয়ন কাজের জন্য জনগন এবার তাকে নির্বাচিত করতে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন।

বিগত দিনে চরতি ইউপিতে যত উন্নয়নের কাজ হয়েছে চেয়ারম্যান দ্বারা তার সবটাই ছিল সরকারী রুটিন ওয়ার্ক এবং দৃশ্যমান যত উন্নয়ন- তার পুরোটাই দাবীদার মাননীয় সাংসদ ডা. নাদভী। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলের সিনিয়র নেতা ও নীতি নির্ধারকদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন কয়েকজন নিরবে। তবে শেষ অব্দি কার ভাগ্যে নৌকার টিকেট জুটবে- সেটা সময়ের ব্যাপার। উল্লেখ্য যে, এবার দলীয় ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও সমান ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে এবার আশার কথা যে, কাউকেই বিদ্রোহী প্রার্থী বলে আখ্যায়িত করা হবে না। জনগণ যাকেই পছন্দের তালিকায় রাখবেন তারা সবাই অংশ নিতে পারবেন। এমন সিদ্ধান্ত দলীয় ভাবে গৃহীত হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এদিকে বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, এবার যারা মনোনয়ন প্রত্যাশি সবাই আওয়ামী দলীয় নেতা কর্মী। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ এলাকার নীতি নির্ধারক ডা. নাদভীর সংসদীয় নির্বাচনে নিবেদিত কর্মী ছিলেন। এবং তারা আজও তার হয়ে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। অবদানের কথা কথা সবাই এক বাক্যে প্রশংসিত করেছেন। তবে কাকে রেখে কাকে দলীয় টিকেট দেবেন- তা নিয়ে ঝল্পনা কল্পনার শেষ নেই। ১৭টি ইউনিয়নের সকল প্রার্থীরাই মনে করেন তারা এমপির পছন্দের মানুষ। এই পছন্দের প্রার্থীতা বাছাই করতে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কাউন্সিল অধিবেশন কিংবা বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে দলীয় ভাবে নমিনেটেড করলে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর আগমন ঘটবে না। সবাই তার জন্য এক হয়ে কাজ করবেন। এ বিষয়ে রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার তেমন কোন সুযোগ নাই। মাননীয় এমপি মহোদয় যে সিদ্ধান্ত দেবেন বা যাকে দল থেকে নমিনেটেড করবেন, আমরা তার জন্যই কাজ করে যাবো আগামী দিন গুলোতে। এবং নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করতে নিশ্চিত করবো। পাশাপশি জননেত্রী শেখ হাসিনার এবারের প্রতিপাদ্য- “আমার গ্রাম-আমার শহর” বাস্তবায়িত করতে আমি বদ্ধ পরিকর।
তবে মোস্তাকিম চৌধুরী এক বাক্যে বলেন, এখানকার সকল উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দু আমার মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই- তাহলে স্বচ্ছতার মধ্যেই কাজ করে যাবো জনগণের জন্য।
এদিকে ২২ হাজার ভোটারদের মাঝে ৫০% নবীন এবং তরুণ ভোটাররা আগামীতে রুহুল্লাহ চৌধুরী কে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়ী করতে তার পিছনে একাট্টা। অন্য দিকে মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আসছি। আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আর আমার প্রিয় নেতা দক্ষিণ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকগন। তাদের দিক নির্ধেশনায় আমি নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই। তিনি বলেন। জীবনে কোনদিন দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাজনীতি বাণিজ্য করি নাই। দরবার-শালিস বিচারে কোন পক্ষপাতিত্ব করি না। আর কোন গ্রুপিংয়ের রাজনীতি আমি করি না। কাউকে করতে উৎসাহ দেই না। আমার শুধু একটাই গ্রুপ- আর তা হল জননেত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির পাশাপশি জনগণের সেবা প্রদান করা। ৬৯ বছরের প্রবীন আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তাকিম চৌধুরী ষাটদশকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন এবং একাত্তরে মোহান মুক্তিযুদ্ধের লড়াকু সৈনিক। রাজনীতির পাশাপাশি ভিবিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্ত। অপরদিকে তরুন প্রার্থী রুহুল্লাহ চৌধুরী শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতির সাথে সক্রীয় না থাকলেও এলাকার উন্নয়নের জন্য সবসময় কাজ করে গেছেন। এখনো তাই করছেন। মাননীয় সাংসদের পৃষ্টপোষকতায় গড়ে উঠা আল্লামা ফয়জুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের ভিবিন্ন সয়হাতা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন নির্বাচিত না হালেও এলাকার মানুষের জন্য আমি কাজ করব ইনশাল্লাহ।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১১২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ