সরকার দলীয় প্রার্থীর নিজেরইতো আস্থা নেই প্রতীকে : এডঃ তৈমুর

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি যেখানে যাই সেখানে সবস্তরের জনগণ আমার পাশে দাঁড়ায়। আমার সঙ্গে এত লোক এরা কারা, এরা তো বিএনপির লোকই। স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আলাদা। বাংলাদেশের মানুষ স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে অভ্যস্ত নয়। তারা প্রার্থীকে দেখে, প্রতীক নয়। আর সরকার দলীয় প্রার্থীর নিজেরই তো আস্থা নেই প্রতীকে।
শনিবার (১ জানুয়ারী) সিটির বন্দরের ২১ ও ২২ নং ওয়ার্ডে প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর বলেন, যদির কথা নদীতে ফালায় (ফেলে) দেন। আমি এখন দলের ক্যান্ডিডেট না। আমি জনগণের ক্যান্ডিডেট।
তিনি আরও বলেন, আমি জনগনের দাবিতে প্রার্থী হয়েছি। ২০১১ সালে দলের সিদ্ধান্তে বসে যাই। ১৬ সালে দল নমিনেশন দেওয়ার পরেও নির্বাচনে যাইনি। এবার আমি জনগণের সঙ্গে বেইমানি করব না। নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, তারা পরিবর্তন চায়। আগামী ১৬ জানুয়ারি আপনারা এর ফলাফল দেখবেন।
তৈমূর আরও বলেন, বিগত পঞ্চাশ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। আমি রাষ্ট্রীয় পরিবহনও পরিচালনা করেছি এবং তা লাভজনক অবস্থায় রেখেছি। আমার সময়ে সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার নাম্বার বিআরটিসির ট্রাকে, বাসে এমনকি দেওয়ালে দিয়ে রেখেছি যেন মানুষ অভিযোগ জানাতে পারে। এভাবে আমি বিষয়টা অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। শ্রমিক মজুরদের সঙ্গে আছি, অনেক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছি। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনগণের পালস আমি বুঝবো।
তিনি বলেন, কালীরবাজার জেলখানা থেকে ডিভিশন জেলখানা পর্যন্ত আছি, ছিলাম। রিকশা ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহনের প্রেসিডেন্ট হয়েছি। জনগণের কোন জিনিস আগে দরকার সেটা বুঝে কাজ করব। কোনো উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে না। প্রতি বছরই বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিটি করপোরেশন কয়েকজন ঠিকাদারের করপোরেট সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। এ করপোরেট সিন্ডিকেট থেকে মানুষ মুক্তি পাক।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০১-০১-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ