রয়েল সুপার সার্ভিসের সংবাদ সম্মেলন রোড পারমিট থাকা সত্বেও হয়রানির অভিযোগ

কুমিল্লারকোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন রয়েল সুপার সার্ভিসের মির্জা রিয়াজ আহমেদ।

সিটিভি নিউজ।।      ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর থেকে  জানান ====
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিআরটি কর্তৃক রোড পারমিট ও অন্যান্য সকল কাগজপত্র থাকা সত্বেও গাড়ি চালাতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে রয়েল সুপার সার্ভিস বাস মালিকরা। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের রয়েল কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রয়েল সুপার সার্ভিসের মালিক জহিরুল ইসলাম খাঁন, আব্দুল কাদের ও ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা রিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা গত ১১ আগস্ট ছয়টি নতুন বাসের রোড পারমিট দেয় বিআরটিএ। ফলে ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত স্থানে কাউন্টার স্থাপন করি আমরা। দুঃখের বিষয় হলো সার্ভিস চালু করার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আমাদের সার্ভিস বন্ধ করতে বলেন বিআরটিএ। শুধু তাই নয়, কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন গ্রুপ ও কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের বেশ কয়েকজন লোক পেশী শক্তি খাটিয়ে আমাদের দুটি গাড়ী জব্দ করে নিয়ে যায়। পরে মুচলেকা দিয়ে গাড়ীগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। বর্তমানে রয়েল সুপার সার্ভিস চালু করতে না পেরে মালিক পক্ষ চরম আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। আর বেকার হয়ে পড়েছে নিয়োগ পাওয়া অনেক শ্রমিক।
সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘বিআরটিএ অফিসে গিয়ে অনুসন্ধান করে আমরা জানতে পারি, কুমিল্লা ট্রান্সর্পোটের ৬৫টি বাসের মধ্যে মাত্র ৮টি বাসের কাগজপত্র আছে। বাকী ৫৭টি গাড়ীর কোন বৈধ কাগজ পত্র নাই। ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলো দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে অহরহ। তাছাড়া প্রতিদিনই কোননা কোন গাড়ী পথিমধ্যে বন্ধ হয়ে যাত্রীদের যেমন ফেলছেন ভূগান্তিতে তেমনি চট্রগ্রাম-কুমিল্লা-–সিলেট মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। গত চল্লিশ বছর যাবত গাড়ীগুলোর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব। তাদের সার্ভিসের সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। অথচ গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লা ট্রান্সর্পোট মালিক পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। যা ছিল বিত্তিহীন ও নিন্দনীয়। রহস্যজনক করণে কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে উদাসীন। তাই তারা দিনের পর দিন হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।
অপর দিকে কুমিল্লা ট্রান্সর্পোট মালিক পরিবহন সমিতির সভাপতি জামিল আহম্মেদ খন্দকারের মুঠোফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কুমিল্লা ট্রান্সর্পোটের সবকটি গাড়ির রোড পার্মিট রয়েছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৩-১০-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ