মৌলভীবাজারে স্বাক্ষর জাল করে মামলা- প্রবাসী দম্পতিকে হয়রানির অভিযোগ রাকিবুল ইসলাম নানু ও তরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে 

সিটিভি নিউজ।।    মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার সংবাদদাতা জানান===  : মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার বেকামুড়া এলাকায় দুবাই প্রবাসী পাপিয়া সুলতানা রুনা ও জাহাঙ্গীর আলম মবশ্বির দম্পতি এবং আব্দুল মালিক পংকির  বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে আদালতে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে উমান প্রবাসী রাকিবুল ইসলাম নানু’র বিরুদ্ধে।
০৪/০৭/২০১৯ইং তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালত মৌলভীবাজারে পিটিশন মামলা নং ৩৭১/২০১৯ (সদর) দায়ের করেন। পরবর্তী সিআর মোকদ্দমা নং ৪৫১/১৯ সদর সূত্রে জানা যায়, ৭/০৪/ ২০১১ ইং তারিখে পাপিয়া সুলতানা রুনা’র নিকট রাকিবুল ইসলাম নানু বাড়ী ক্রয় করার জন্য মামলার ২নং সাক্ষী তার আপন ভাই তরাজুল ইসলামের মাধ্যমে  ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রেরণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন এবং একখানা অঙ্গীকারনামাসহ দাখিল করেন ।
০৪/০৭/২০১৯ইং তারিখে দায়ের কৃত মামলায় রাকিবুল ইসলাম নানু পাপিয়া সুলতানা রুনা’র নিকট জায়গা ক্রয় করার জন্য  প্রেরিত টাকায় জায়গা সমজিয়ে না দেয়ায় রাকিবুল ইসলাম নানু তার রুনার নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি অস্বীকার করেন এবং পাপিয়া সুলতানা রুনা ও তার স্বামী মবশ্বির আহমদ হুমকি ধামকি প্রদান করার কারনে তিনি মামলা দায়ের করেন বলে উল্লেখ করেন ।
মামলার এজহারে উক্ত বিষয় উল্লেখ করেন রাকিবুল ইসলাম নানু এবং মামলার এজাহারের সাথে ৭লক্ষ ২০টাকার একটি চুক্তিপত্র দাখিল করা হয়। দাখিল কৃত চুক্তিপত্রে ৩জন সাক্ষীর সম্মূখে ৭লক্ষ ২০হাজার টাকা প্রদানের পাপিয়া সুলতানা রুনা সাক্ষর করেছেন। এবং একজন নোটারী পাবলিক আইনজীবী ও আরেকজন আইনজীবীর সীল সাক্ষর রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে সরজমিনে চুক্তিপত্রে উল্লেখিত ৩জন সাক্ষীর সাথে যোগাযোগ করলে মামলার ২নং সাক্ষী ও অঙ্গীকারনামা ২য় পক্ষ তরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জানা যায়,  তিনি জিআর ২৭৬/২০২০ নং অপর মোকদ্দমায় জেল হাজতে রয়েছেন।
উনার স্ত্রী হামিদা বেগম জানান, আমার স্বামী লেনদেন করেছেন শুনেছি তবে আমি দেখিনি।
সিআর মোকদ্দমা নং ৪৫১/১৯নং মোকদ্দমার ৩য় সাক্ষী ও অঙ্গীকারনামার ২য় সাক্ষী সিতার মিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে উক্ত মামলা ও টাকা আদান প্রদান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাকিবুল ইসলাম নানু ও পাপিয়া সুলতানা রুনা আমার ভাই বোন হন তবে ২০১১ইং সালে বা কোন সময় কোন লেনদেন হয়েছে তা আমার জানা নেই।
তিনি আরো বলেন, উক্ত মামলায় আমাকে রাকিবুল ইসলাম নানু সাক্ষী হিসেবে দিয়েছে তা আমি জানি না ও অঙ্গীকারনামায় আমি কোন সাক্ষর কিংবা টিপসই দেইনি। আমি তাদের এসব বিষয়ে অবগত ছিলাম না গত ১৫ নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে আমার অপর ভাই অঙ্গীকারনামার ২য় পক্ষ তরাজুল ইসলাম আমার মায়ের উপর হামলা ও মামলার পর তাদের টাকা পয়সার বিষয়ে জানতে পারি এবং আমাকে মামলা ও অঙ্গীকারনামায় আমার টিপসই জাল করে সাক্ষী দেয়া হয়েছে।
সম্পাদিত অঙ্গীকারনামার ৩নং সাক্ষী মুকিদ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি উক্ত বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হয়ে বলেন, আমি যা বলার কোর্টে বলবো।
মামলার ৪নং সাক্ষী সিতার মিয়ার স্ত্রী রায়না বেগম বলেন, আমি বা আমার স্বামী উক্ত মামলা সম্পর্কে অবগত নই আমাদের সাক্ষী দেয়া হয়েছে তা আমরা জানি না রাকিবুল ইসলাম নানু আমাদের সাক্ষী দিয়ে ফাঁসিয়েছে।
মামলার ৫নং সাক্ষী আনকার বেগের সাথে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাকিবুল ইসলাম নানু ও পাপিয়া সুলতানা রুনার মামলা এবং লেনদেন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। পরে জানতে পারলাম আমাকে রাকিবুল ইসলাম নানু সাক্ষী হিসেবে দিয়েছে। তিনি উভয় পক্ষের দন্দের বিষয়ে আমি জানি না।
তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অঙ্গীকারনামা সম্পাদিত দুজন  আইনজীবী মোঃ রেজাউর রহমান চৌধুরী এডভোকেট জজ কোর্ট, নোটারী পাবলিক উনার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারনামায় আমার সীল সাক্ষর রয়েছে তবে এটা কিভাবে কে জাল করলো জানিনা এই অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করিনি। অঙ্গীকারনামা রেজিস্টার্ডও করা নেই।
মামলায় উল্লেখ করা হয় অঙ্গীকারনামা বাদীর বাড়িতে বিকাল ৪ ঘটিকার সময় সম্পাদন করা হয় উক্ত বিষয়ে আইনজীবী মোঃ রেজাউর রহমান চৌধুরী বলেন আমরা কখনো কারো বাড়িতে গিয়ে কোন নোটারী করিনি।
অপর আইনজীবী অমলেন্দু বিকাশ দেব এডভোকেট জজ কোর্ট মৌলভীবাজার তিনি বলেন, অঙ্গীকারনামা আমি সম্পাদন করিনি এটা আমাদের রেজিস্টারেও নেই। তরাজুল ইসলাম কিভাবে সাক্ষর সীল জাল করে রাকিবুল ইসলাম নানু বাদী হয়ে ৭ লক্ষ বিশ হাজার টাকার মামলা করেছেন। এটা অবশ্যই জাল করে করা হয়েছে।
প্রবাসে বসবাসরত মামলার বিবাদী পাপিয়া সুলতানা রুনা ও জাহাঙ্গীর আলম মবশ্বিরের  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উনারা বলেন রাকিবুল ইসলাম নানু’র সাথে আমি বা আমার স্ত্রীর কোন লেনদেন নেই। রাকিবুল ইসলাম নানু আমার মায়ের জায়গা জাল করে  নিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলায় এবং মাকে সহযোগিতা করায় আক্রোশে রাকিবুল ইসলাম নানু আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষর জাল করে মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে।
এছাড়া রাকিবুল ইসলাম নানু মামলায় যে উল্লেখ করেছেন ২৯/ ০৪/২০১৯ইং তারিখে টাকা দিব না এবং প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি প্রদান করেছি অথচ ২০১৭ ইং সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসি এবং ২৩ সেপ্টেম্বর দেশ থেকে প্রবাসে চলে যাই এখন পর্যন্ত আমরা দেশে আসিনি যার প্রমাণ রয়েছে এসব কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট জাল বলে জাহাঙ্গীর আলম মবশ্বির ও পাপিয়া সুলতানা রুনা দম্পতি জানান।
এদিকে সরজমিনে পাঠানতুলা, বেকামুড়া এলাকার বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,  মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ জানতো না বা কোন বিচার বৈঠক হয়নি। ইদানীং তাদের বিরোধ সম্পর্কে অবগত হয়েছি।

মামলার বাদী ওমানে অবস্থানরত রাকিবুল ইসলাম নানু’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।সংবাদ প্রকাশঃ  ২০২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ