মুরাদনগরে একটি রাস্তা ৯ হাজার মানুষের বিষফোঁড়া

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামের রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় যান চলাচল বন্ধ। শ^াসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় দেড় কিলোমিটার পায়ে হেটে চাচাকে মাথায় করে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য।

সিটিভি নিউজ।।     মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা  জানান ====
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা পশ্চিমপাড়া হাজী বাড়ী থেকে লক্ষীপুর চরখখোলা হয়ে দারোরা বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি ৪ গ্রামের ৯ হাজার লোকের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে গ্রামবাসীরা বেশ কয়েকবার মেরামত করলেও তদারকির অভাবে সড়কটি আজও চলাচলের উপযুগি হয়ে ওঠেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় রাস্তাটির দু’পাশ ভেঙ্গে এমন বেহাল দশা হয়েছে, যেখানে একজন মানুষ যাওয়ার সময় অপর প্রান্তে মানুষটি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দ হয়ে এখন ডোবা আকৃতির হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর আক্ষেপ করে বলেন, এ রাস্তাটি পাঁকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তপক্ষের নিকট একাধিকবার আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে কারো নজরে আসছে না। রাস্তাটি যদি ইউনিয়ন পরিষদ অথবা উপজেলা পরিষদ তদারকিতে এগিয়ে আসতো তাহলে এই রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হতো না।
মুগসাইর গ্রামের আব্দুস ছালাম মাস্টার বলেন, গর্ভবতী মায়েদের এবং বয়স্ক কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কারণ, মসজিদের খাটিয়ায় করে এই দূর্ভোগের রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। যাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা কম, তারা আরো পড়তে হয় বেশী ভোগান্তিতে। কারণ, তারা লোক ভাড়া করে রোগিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরমতলা গ্রামের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ৪ কিলোমিটার এই রাস্তাটি দিয়ে পরমতলা, লক্ষীপুর, মুকসাইর ও দারোরা গ্রামের কয়েকশ’ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৯ হাজার লোক দূর্ভোগ সহ্য করে আসা-যাওয়া করে। রাস্তাটি পাঁকা করা হলে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারনের বহুদিনের ভোগান্তি লাগব হবে। আমরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে একাধিকবার মেরামত করলেও সামান্য বৃষ্টিতেই আবার আগের মতো হয়ে যায়।
লক্ষীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, পরমতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও খোরশেদ আলম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেটে যেতেও মারাত্বক অসুবিধায় পড়তে হয়।
মুকসাইর গ্রামের মাস্টার নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, এ রাস্তাটি পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে যাচ্ছি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৯ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগে নিজ উদ্যোগে আবেদনও করেছি।
মুরাদনগর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দূর্ভোগের চিত্র প্রত্যক্ষ করেছি। এ রাস্তাটি বৃহত্তর কুমিল্লা উন্নয়ন প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে (আইডি নম্বর- ৪১৯৮১৫০৭৯)। রাস্তাটি সহসায় বাস্তবায়ন করার কাজ এগিয়ে চলছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৫২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ