মুরাদনগরের দারোরা ইউপি নির্বাচনে নৌকা আর ঘোড়ার তীব্র লড়াই

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।     শান্তনু হাসান খান (বিশেষ প্রতিনিধি)
সারাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপি নির্বাচন করতে যাচ্ছে সিইসি। এর মাঝে ৫টি ধাপে সারাদেশে ৪ হাজার ৮৮৪টি ইউপি নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। ব্যাপক সহিংসতা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আর খুনÑখারাপির মধ্যদিয়ে নির্বাচন শেষ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী ৩১ জানুযারি ৬ষ্ঠ ধাপে ২১৯টি নির্বাচন করতে যাচ্ছেন মাঠ প্রশাসন। এর মাঝে কুমিল্লার মুরাদনগরের ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান। প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে সুষ্ঠুভোট অনুষ্ঠিত হয় সে আবেদন জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রার্থী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ ফারুক আহমেদ অনুরূপভাবে ঘোষণা দিয়ে বলেন কোন প্রকার অরাজকতা সহ্য করা হবে না। কেউ করতে গেলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। মুরাদনগর সার্কেল পুলিশ সুপার সুভাষ বাবু বলেন, কোন প্রকার বাড়তি মামলা কিংবা অভিযোগ নির্বাচনের আগে গ্রহণ করা হবে না। কেননা প্রার্থীকে কোনঠাসা করতে এসব ভুয়া কর্মকান্ড। তারপরেও প্রার্থীরা সবাই সুষ্ঠূ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।
মুরাদনগরের নবীপুর, শ্রীকাইল, জাহাপুর আর দারোরা এই কয়েকটি ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার আশংকা করছেন জনগণ এবং প্রার্থীরা। এদিকে সরেজমিনে দেখা যায় নৌকার টিকিট পেলেই যেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এ ধারণাটা পাল্টে দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগেরই পোড় খাওয়া অনেক নিবেদিত আওয়ামীলীগের কর্মী আছেন-যারা আনারস কিংবা ঘোড়া নিয়ে দৌড়াচ্ছেন মাঠে। তেমনি একজন দারোরার স্বতন্ত্র প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ আবুল হাশেম মাস্টার । আর নৌকার টিকিটে মাঠে আছেন কৃষকলীগের আহবায়ক কাজী কামাল উদ্দিন খন্দকার। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন- মুরাদনগর প্রেস ক্লাবের অনেক সাংবাদিককেই কোন সাক্ষাৎকার দিচ্ছি না। আমি এখন খুব ব্যস্ত। ধরে নিন আগামীতে দারোরার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। পরে আসেন অনেক খবর দিবো। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বলেন, অনেক প্রার্থী আছেন নৌকাকে জয় করাতে তারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। তবে নৌকা আর ঘোড়ার মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে অনুমান করা হয়। ঘোড়ার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম মাস্টার বলেন, ’৬৯ সাল থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ৭৬ থেকে ৮০ অব্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সম্পাদক আর ৮০ থেকে ৮৮ পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ছিলাম। আর এখন বর্তমানে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছি। ২০১৪ এবং ২০১৮ তে আমার মাননীয় এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এর নির্বাচনে কো-অর্ডিনেটর এর কাজ করেছি। দলের প্রতি আমার অঘাত বিশ্বাস ছিল। কিন্তু দল আমাকে নৌকার টিকিট দেয়নি। জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রতিটি ভোটার যদি নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আমি কামিয়াব হবো।
তিনি বলেন, আমার প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ এলাকার কৃতিসন্তান এবং সমাজসেবক মাননীয় এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। আমি নির্বাচিত হলে এ ইউনিয়নকে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাইলাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।
ঘোড়ার প্রার্থী আবুল হাশেম মাস্টার বলেন আমাদের মুরাদনগরে ব্যাপক এলাকায় ইতিমধ্যেই অনেক ব্রিজ-কালভার্ট, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করেছেন। আর সবকিছুই হয়েছে আমার এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এর দিক নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যেই। যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি এ ধারাবাকিতা রক্ষা করার চেষ্টা করবো আগামী দিনগুলোতে। আমি কোনো প্রফেশনাল চেয়ারম্যান হয়ে-টিআর-কাবিখা’র পেছনে দৌড়াতে চাই না। জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৫-০১-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email