পিতার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধঃ বোনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ভাই

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।। কুমিল্লা মহানগরীর  ঝাউতলায়  এক সম্পত্তি-লোভী কণ্যা শামীমা শাম্মী তার   মস্তিস্ক-বিকৃত পিতার সম্পত্তি গ্রাস ও মিথ্যাচার করে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন   শাম্মীর মা সৈয়দা ফেরদৌসী বেগম ও  শাম্মির ভাই  এডভোকেট তানিম, শাম্মির চাচা একে এম জাহাঙ্গীর কবির, এডভোকেট  সোয়েবুর রহমান।

গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায়  কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে  মানসিক রোগী  হুমায়ুন কবির  ও সৈয়দা ফয়জুন্নেছা বেগম এর পুত্র  এডভোকেট এ কে এম তানিমুল কবির সাংবাদিকদের জানান ,  বিগত ০৫/১১/২০২০ইং তারিখে আমার ছোট বোন শামীমা শাম্মীর  বক্তব্য  অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে অদ্য ০৭/১১/২০২০ইং তারিখ ১জন মস্তিস্ক বিকৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও পুত্রসহ পরিবারের সকল সদস্যগণ
শামীমা শাম্মীর উল্লেখিত ২০০৮ইং সাল উল্লেখ করে নির্যাতনের যে কথা বলা হয়েছে তার প্রমাণ স্বরূপ শামীমা শাম্মী কর্তৃক স্বাক্ষরিত গত ২৫/০৬/২০০৮ইং তারিখের ইঞ্জুরী সার্টিফিকেট এ নির্যাতনকরী পিতা এ.কে.এম হুমায়ুন কবীর উল্লেখ রহিয়াছে এবং এই  সার্টি ফিকেট ২০০৮ইং সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০০ইং মোতাবেক নাঃ শিঃ ২৬৬/০৮নং মামলা রুজু হয়। উল্লেখ্য বিগত  ২৩-১-২০০৫……………..ইং তারিখ মানসিক রোগী আমার পিতা হুমায়ুন কবির এর জন্মদাত্রী মাতা ফয়জুন্নেছা বেগম ৭২০৯ ………….নং দলিল মূলে তাহার জেষ্ট্য পুত্র এ.কে.এম জাহাঙ্গীর কবির ও কনিষ্ঠ পুত্র এ.কে.এম ইকবাল কবিরকে হেবা দলিল মূলে সমস্ত ভূমি ৩ পুত্রের মধ্যে ২ পুত্রকে ১২ তলা ভবন ভূমি সহ হেবা দান করিয়া দেয়। পরবর্তীতে এ.কে.এম জাহাঙ্গীর কবির ও এ.কে.এম ইকবাল কবির ভ্রাতাদ্বয় মানসিক রোগীর পুত্র সন্তান ও স্ত্রীর প্রতি ন্যায় বিচার করার লক্ষ্যে বিগত .২৬-১-২০০৬……………..ইং তারিখে …….৩১৫………..নং হেবা দলি মূলে ১টি দানপত্র দলিল প্রদান করে। কিন্তু কুচক্রী শামীমা শাম্মী তাহার অসুস্থ্য পিতার সহিত টাওয়ারের দোকান্দার, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যুদের সহায়তায় সকল সম্পত্তি গ্রাস করার তথা পানির মূলে বিক্রয় করিয়া ১৬/০৭/২০২০ইং তারিখ যাহার দলিল নং- ৩৭২০ মূলে আবু তাহের তথা ময়ূরী দোকানের বাড়াটিয়া সুমনের কথিত মামার তত্তাবধানে নীচতলার মাকের্রেট ৪নং দোকানঘর বিক্রি করিয়া দেয়। উল্লেখ্য এই ময়ূরী দোকান্দার সুমন ২০০৮ইং সালে আমার পিতার টাওয়ারের পেছনে এক গন্ডা জায়গা পানির দরে তথা ৩,০০,০০০/- টাকা দলিলে উল্লেখ করিয়া আত্মসাৎ করে এবং অদ্যবধি ভূমি সুমনের সকল ষড়যন্ত্র অদ্যাবদি আমাদের পরিবারকে ঘিরে চলমান অবস্থায় আছে।এমনকি লোক মুখে শুনতে পাই এই ভূমি দস্যু সুমন শামীমা শাম্মীর সাথে পরামর্শক্রমে অর্থাৎ টাওয়ারের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট যাহাতে আমি পুত্র ও আমার মাতা বর্তমানে আমার দাদা মরহুম এডভোকেট আজিজুর রহমান এর ওয়ারিশ হিসাবে অদ্যবধি বসবাসরত আছি। এই একটিমাত্র ফ্ল্যাট তথা আমাদের ভিটি বাড়ী হইতে শামীমা শাম্মি গং ভূমি দস্যু সুমন ও কতিপয় লোভী আততাই এর পরামর্শে আমি ও আমার মাতাকে জোরপূর্বক একবস্ত্রে ফ্ল্যাট হইতে বের করিয়া দেবার হুমকি দেয় এবং অবশিষ্ট ১টি মাত্র মার্কেটের ২য়তলার ১নং দোকানঘরটি ফ্ল্যাট সহ একত্রে নামমাত্র মূলে সুমন গংদের নিকট বিক্রয় করিয়া লভ্যাংশ ভোগ করিবে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই শামিমা শাম্মি গং আমার মানষিক বিকারগ্রস্থ্য পিতাকে যেকোন মূলে ছলে, বলে, কৌশলে এমনকি জোর জবরদস্তি করে মানষিক কেন্দ্র হতে বের করে এনে তাহাদের ষড়যন্ত্রের নীল নকশাই বিগত ০৫/১১/২০২০ইং তারিখের প্রেস ব্রিফিংয়ের মূল উদ্দেশ্য।
২। তদপরবর্তীতে মানসিক বিকারগ্রস্থ পিতার তান্ডবলীলা চলমান থাকে। তদুপরি ২০১৩ইং সালের ৩রা জানুয়ারী শামীমা শাম্মী কর্তৃক তাহার পিত্রালয়ে বহিরাগত প্রেমিক (সাকিন) সহকারে হাতেনাতে ধৃত হইলে ঐ সময় মানষিক বিকারগ্রস্থ্য পিতা উত্তেজিত হইয়া কন্যার অপকর্ম ঢাকতে তাহার হাতে তাকা ঈযরহধ তালা দ্বারা ঐ প্রেমিকের মাথায় আঘাত করিয়া রক্তাক্ত জখম করে। যাহার প্রকৃত প্রমান স্বরূপ থানায় প্রদত্ত “ষ্ট্যাম্প এর অঙ্গীকারনামা ও মানষিক বিকারগ্রস্থ্য পিতার নিজ হাতে লেখা ডায়েরীতে প্রদত্ত জরিমানা ২,৪৩,০০০/- টাকার সকল বর্ণনায় স্পষ্ট উল্লেখ রহিয়াছে। যাহা অত্র সংগে প্রদত্ত করিলাম।

মানসিক বিকারগ্রস্থ পিতা তাহার কন্যাকে সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগে বাসায় জামাই সহ যে নির্যাতন করে তাহা ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কুসিক বরাবরে হুমায়ন কবির এর নিজ স্বাক্ষরিত বিগত ০৫/১১/২০১৮ইং তারিখের দরখাস্ত প্রমান স্বরূপ প্রদান করিলাম।
শামীমা শাম্মীর প্রেস ব্রিফিং এ উল্লেখিত পিতার সুস্থতা প্রমানে সরকারি চাকুরীর বিষয়ে ও কর্মকর্তা উল্লেখ করিয়াছে যাহার প্রমান স্বরূপ তাহার পিতার ফ্ল্যাটের সম্মুখে ট্রাফিক পরিদর্শক উল্লেখ রহিয়াছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিদায় সন্মাননা স্মারক এ সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিস্ট্যান্ট উল্লেখ রহিয়াছে। এমনকি নজির বিহীন ভাবে একজন পুত্র অসুস্থ্য না হলে কিভাবে তাহার জীবিত মাতাকে অর্থাৎ ফয়জুন্নেছা বেগমকে মরহুম লিখিয়া ফ্ল্যাটের নাম ফলক ব্যবহার করে তাহা বোধগম্য নয়। তদুপরি মানসিক অসুস্থ হুমায়ুন কবিরের সরকারী চাকুরীস্থলে দুর্নীতির মামলার কাগজপত্র প্রমান স্বরূপ দাখিল করিলাম।
সর্বোপরি এ.কে.এম হুমায়ুন কবিরের জন্মদাত্রী মাতা ফয়জুন্নেছা বেগমের স্বাক্ষরিত বিগত ২৩/১০/২০০৯ইং তারিখে কোতয়ালী মডেল থানায় পুত্রের নির্যাতন সইতে না পেরে ১টি জিডি রুজু করে যাহা প্রমান স্বরূপ প্রদান করিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় অদ্যবধি হুমায়ুন কবির এর জন্মদাত্রী মাতা বিগত ৩০/১১/২০১৮ইং তারিখে পূর্ণতা নামীয় মানসিক সেন্টারে ভর্তি করিলে ষড়যন্ত্রকারী সম্পত্তিলোভী পারিবারিক শত্রুদের আততায়ে ও সহযোগিতায় ০৬/১২/২০১৮ইং তারিখ মানষিক সেন্টার হতে নিয়ে এসে অদ্যবধি শামীমা শাম্মী ও এডভোকেট আজিজুর রহমান সাহেবের পারিবারিক শক্রদের প্রত্যক্ষ মদদ ও ইন্ধনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সহ হুমায়ুন কবিরের ফ্ল্যাট ও দোকান সমূহ অসৎ উপায়ে পানির মূল্যে ক্রয় করার চক্রান্ত প্রকাশ পাইলে পরিবারের সকল সদস্যগণ অসহায় নারী ফেরদৌসী বেগম ও নির্যাতিত পুত্র এডভোকেট তানিম সহ অর্থাৎ আমি ও আমার মাতাকে সহযোগীতার লক্ষ্যে হুমায়ুন কবিরের পরিবারের জীবিত মাতা ফয়জুন্নেছা বেগম ও জেষ্ঠ্য ভ্রাতা এ.কে.এম জাহাঙ্গীর কবির ও কনিষ্ঠ ভ্রাতা এ.কে.এম ইকবাল কবির এডভোকেট ও আমার জেঠাত ভাই এডভোকেট সোয়েবুর রহমান সহ পরিবারের সকল সদস্যগণ হুমায়ুন কবিরের সুস্থ্যতা ও চিকিৎসায় তথা তাহার পরিবারের সম্পত্তি ও ভিটি বাড়ী রক্ষায় দৃঢ় প্রত্যয়ে পূর্ণতা নামক মানসিক সেন্টারে পুনঃরায় ভর্তি করে। কিন্তু  সম্পত্তিলোভী মেয়ে ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কুপরামর্শে এডভোকেট আজিজুর রহমানের পরিবারকে ধংস্ব পূর্বক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার হীন মানসে শামীমা শাম্মী গং ২০০৮ সাল হইতে অদ্যবধি অপ-প্রচার ও হয়রানী করিতেছে। এমনকি আমাদের পরিবারের সকলকে হুমায়ুন কবিরকে অসুস্থ্য অবস্থায় কৌশলে ও জোরপূর্বক বের করিয়া সকলকে মামলা দিয়া এমনকি হামলা করিয়া সামাজিক, অর্থনৈতিক তথা সার্বিক ভাবে হেনস্থা করিবে মর্মে লোকমুখে প্রচার করিতেছে।
অতএব, উপরোক্ত অবস্থা ও কারনাধীনে উল্লেখিত বিষয়াবলি পর্যালোচনা করিয়া তথা সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক গোচরে নিয়া বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয় আবুল ফজল মীর, কুমিল্লা পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ নূরুল ইসলাম, কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক সহ সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ তথা প্রশাসনিক সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণদের উল্লেখিত বিষয়টি আশু সমাধানে তথা একটি অসহায় পরিবারকে রক্ষায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অত্র প্রেস ব্রিফিংটি গুরুত্ব সহকরে বিবেচনা করিয়া শীগ্রই আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে আকুল আবেদন করছি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৭১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email