মসজিদের এসি বিস্ফোরণ হয়নি : গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই আগুন

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো তল্লা এলাকা। নিহত ও আহতরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা এবং পরস্পরের প্রতিবেশী। তাই কে কাকে সান্ত¡না দেবে, সেই ভাষা ছিল না কারোরই। এ ঘটনা তদন্তে শনিবার বিকেল পর্যন্ত তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজও শুরু করে দিয়েছেন। দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই কমিটির অন্য সদস্য ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নূর হাসান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় তারা গ্যাস ও বিদ্যুৎ থেকে আগুনের উৎস ধরে নিয়ে তদন্তকাজ শুরু করেছেন। এর বাইরে মসজিদটিতে আগুন লাগার আর কোনো কারণ তারা প্রাথমিকভাবে খুঁজে পাননি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মসজিদটিতে এসি বিস্ফোরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। কারণ প্রত্যেকটি এসির কম্প্রেসার অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তবে মসজিদের পেছনের অংশের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া ওই লাইনের লিকেজ থেকে বুদ্বুদ আকারে গ্যাস নির্গত হতেও দেখা গেছে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, কোনটি আগে হয়েছে। শর্টসার্কিট নাকি নির্গত গ্যাস। তবে নির্গত গ্যাসে বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখানে এর বাইরে আর কোনো ঘটনা নেই।’
এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির জিএম (পরিকল্পনা) আবদুল ওয়াহাব তালুকদারকে প্রধান করে অন্য একটি কমিটি তদন্ত করছে। এ ছাড়া ডিপিডিসি থেকেও আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করার কথা জানা গেলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি। ডিপিডিসির মহাব্যবস্থাপক বিকাশ দেওয়ান নারায়ণগঞ্জে ডিপিডিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনা সম্পর্কে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির বাইরেও র‌্যাব, পুলিশ, সিআইডি এবং অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা পৃথকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ড. আবদুল হান্নান নামে এক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।
মসজিদ কমিটির সাবেক সদস্য ও অতীতে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় মোশারফ হোসেন মিথুন বলেন, নব্বইয়ের দশকে খানপুর সরদারপাড়া এলাকার মাহমুদ সরদার নিজের এই জমিটি মসজিদের জন্য দান করেন। ওই সময় মসজিদটি ছোট আকারে নির্মিত হয়েছিল। ওই সময় টিনশেড মসজিদটির পেছনের অংশে মুয়াজ্জিনের থাকার কক্ষে গ্যাসের রাইজার ছিল। পরে ১০-১২ বছর আগে মসজিদটি বহুতল ভবন করা হলে রাইজারটি খুলে গ্যাসের লাইনটি মসজিদের নিচে রেখেই ওপরে নির্মাণকাজ করা হয়।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৬২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email