ব্রাহ্মণপাড়ায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাটি কাটা কর্মসূচীর শ্রমিকদের মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন     ব্রাহ্মণপাড়া  (কুমিল্লা)  প্রতিনিধি  জানান ====
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান এর বিরুদ্ধে ৪০ দিনের মাটি কাটা কর্মসূচীর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের মজুরির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান। তার এলাকায় দৈনিক ৪ শত টাকা বেতনে মাটি কাটা ৪০ দিনের একটি সরকারি কর্মসূচীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কর্মসূচীতে ইউপি সদস্যের অধীনে ৩৬ জন শ্রমিক কাজ করছে। প্রথম ধাপে প্রতি শ্রমিকের মোবাইলে ৮ হাজার টাকা করে বেতনের টাকা আসে। এই টাকা থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ৩ হাজার ৫ শত টাকা করে নিয়ে যায়। এসময় ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান শ্রমিকদের বলেন, “টিএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, পিআইও স্যার, থানার ওসি, ইউপি চেয়ারম্যান এবং এমপি মহোদয় কে এই টাকার অংশ দিতে হবে।” ইউপি সদস্য আরও বলেন, “এই টাকাগুলো ৯টি ভাগ হবে।” শ্রমিকেরা তার কথায় বিশ্বাস করে তার নিকট টাকা জমা দেয়।
পরের ধাপে আবারও শ্রমিকদের মোবাইলে ৮ হাজার টাকা করে আসলে  ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান শ্রমিকদের ডেকে জনপ্রতি ১ হাজার করে রেখে বাকি ৭ হাজার টাকা তার নিকট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিছু শ্রমিক টাকা ফেরত দিতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদেরকে পুলিশের ভয় দেখান ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান। কিছু শ্রমিক টাকা ফেরত না দিলে স্থানীয় সর্দারদের দিয়ে তাদেরকে হুমকিধামকি দেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আতাউর। পরে উপায়ান্তর না দেখে টাকা ফেরত না দেওয়া শ্রমিকরা চান্দলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধলগ্রামের বাসিন্দা নুরজাহান বেগম,নসু মিয়া,জলিল মিয়া,হোসেনা বেগম, ও মোশাররফ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান বলেন, “চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যান জনাব ওমর ফারুক আমাকে বলেছেন যার যার টাকা তাকে তাকে ফেরত দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে। আমি খুব শীঘ্রই সবার টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি সমাধান করবো।”
এ ব্যপারে চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি।তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে বঞ্চিত শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। আমি বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”সংবাদ প্রকাশঃ  ২৭-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email