বুড়িচংয়ে মসজিদের ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ;আহত ৯

সিটিভি নিউজ।।   আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়।।  সংবাদদাতা জানান =====

বুড়িচংয়ে ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে তারাবির নামাজের সময় ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৯ জন আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গুরুতর আহত ব্যক্তিরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

(২৭ মার্চ ২০২৩) সোমবার স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া মুনাফ মিয়া পরিবারের সাথে একই এলাকার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা ফেরদৌস এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে।খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া বায়তুল জামে মসজিদে পবিত্র মাহে রমজানের তারাবির নামাজ পড়ানো জন্য দায়িত্ব পায় বুড়িচং মডেল স্কুলের শিক্ষক মাওলানা মোঃ ফেরদৌস।আব্দুল মুনাফ মিয়ার পরিবারের অভিযোগ রোববার ওই মসজিদে তারাবির নামাজের আগ মূহুর্তে পারিবারিক দ্বন্দ্ব জের নিয়ে আলোচনা করে ইমাম মোঃ ফেরদৌস। ইমামের এমন আলোচনা শুনে সাথে সাথে প্রতিবাদ করেন আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি,জনি, কাফি সহ আরো কয়েকজন মুসল্লিগণ। তখন মসজিদের ভিতরে মুসল্লিদের উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টি হলে প্রতিবাদকারী ব্যক্তিরা বাড়িতে চলে যায়।নামাজ শেষে ওই রাতে ইমাম ফেরদৌসের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মুনাফের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের ৯-১০ লোকজন গুরুতর ভাবে আহত হয়। আহত ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার মৃত.আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ সেলিম(৫০), মৃত.হারিজ মিয়ার ছেলে আরিফ(৩০),আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি(৩০),জনি(২০),কাফি(১৮),আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল হাসেম নবি(৫০) ও আব্দুল মুনাফের স্ত্রী নিলুফা বেগম(৫০)। এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ফেরদৌস প্রতিনিধিকে জানান,পারিবারিক বিষয় নিয়ে মসজিদে আমি আলোচনা করি নাই। আমি ধর্মীয় বিষয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করতেছিলাম। এমন সময় ওরা আমার এ আলোচনাকে নিজেদের গায়ে লাগিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করে পরিবেশ গোলাটে করলে মুসল্লিদের সাথে হাতাহাতি হয়। এতে মুসল্লিদের মধ্যে আহত হয় কবির হোসেন,মাহবুব,জাহাঙ্গীর, ইসহাক,হেলাল উদ্দিন সহ আরো অনেকে।
মুনাফা মিয়ার স্ত্রী ও ছেলেরা জানান,মসজিদের ইমাম হামলা চালিয়ে থেমে যায়নি। দিনেও তিনি কুমিল্লা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে তাদের ফার্নিচার দোকানে ভাংচুর করেছে। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করেছি। আমরা এ কর্মকান্ডের সঠিক বিচার চাই।
এমন ঘটনা স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা অনেকে তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুর রশিদের ঘটনা মূলকারণ জানতে বলতে নারাজ।
এ বিষয়ে ষোলনল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজীঃ বিল্লাল হোসেন বলেন,আমি ঘটনার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।ঘটনা সত্যতা জেনে মিমাংসার জন্য উভয়ের সাথে বৈঠকে বসবো।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি তদন্ত (পরিদর্শক) মোঃ কবির হোসেন বলেন,ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সংবাদ প্রকাশঃ ২৭০৩২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ