সিটিভি নিউজ।। হঠাৎই অপরিচিত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে রাজশাহী নগরীর দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কলেজছাত্রীর কাছে। ১৬ নভেম্বর ফোনের ওপাশ থেকে ওই ব্যক্তি নিজেকে কলেজের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে বলেন, করোনাকালে বিকাশের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এ জন্য যে নম্বরে বৃত্তি পাঠানো হবে সেই বিকাশে অন্তত ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে। তাহলেই এই নম্বরে সরকার টাকা পাঠাবে। কোনো যাচাই-বাছাই না করে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার বিকাশে ৫০ হাজার টাকা রাখেন। ওই ছাত্রীর বিকাশে আগেই আরও এক হাজার টাকার মতো ছিল। প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন ওই ছাত্রী।
প্রতারকেরা ওই শিক্ষার্থীর বিকাশ হিসাব থেকে হাতিয়ে নেয় ৫১ হাজার টাকা। কোনো কিছু বুঝতে না পেরে ওই ছাত্রী পুলিশের দারস্থ হন। পরে পুলিশের পরামর্শে ওই প্রতারকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। একপর্যায়ে ওই প্রতারক কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজশাহীতে।
সর্বশেষ রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে এক সহযোগীসহ ওই প্রতারককে আটক করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এখনো পলাতক রয়েছেন চারজন। আটকের পর রাতেই ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এই দু’জনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। আজ সোমবার বিকেল তিনটার দিকে গ্রেপ্তার দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রমতে, আটক ব্যক্তিরা হলেন: ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার জঙ্গলপাশা গ্রামের আবদুল খানের ছেলে হাসান খান (১৯) এবং নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মাহমুদ হাসান ওরফে বায়েজিদ (১৯)। অপরদিকে পলাতক চার ব্যক্তি হলেন: ভাঙা উপজেলার জঙ্গলপাশা গ্রামের শওকত হোসেনের ছেলে মো. সোহাগ খান (২৫), একই গ্রামের শহিদ ফরাজির দুই ছেলে মো. সুরুজ ফরাজি (৩০) ও মো. সবুজ ফরাজি (২২) এবং সিরাজ ফরাজির ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার প্রতারক চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে নগর ডিবি পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, মুঠোফোনে কল দিয়ে ওই প্রতারক চক্র কৌশলে বিকাশের পিন নম্বর হাতিয়ে নেয়। এরপর সরিয়ে ফেলেন বিকাশের টাকা। এ রকম একজন ভুক্তভোগী তাদের কাছে গেলে তারা ওই কলেজছাত্রীকে পরামর্শ দেন ওই প্রতারকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার জন্য। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলা কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে তাদের দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগর ডিবি পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুন। একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।সংবাদ প্রকাশঃ ৩০–১১–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=
(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)