বাঙ্গরায় সম্পত্তির লোভে ছেলের হাতে বাবা খুন

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।     ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর থেকে : জানান ====
কুমিল্লার মুরাদনগরে সম্পত্তির লোভে পিতা মাহফুজ মিয়াকে (৬১) হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বস্তাবন্দি লাশ গুম করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে গ্রামে ফিরে গেলে এলাকাবাসী ঘাতক ছেলে সোলেমান মিয়াকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেছে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেওড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে মাহফুজ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে তার ছেলে সোলেমান মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে সোলেমান মিয়া তার বাবা মাহফুজ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত শেষে বস্তাবন্ধি করে রাখে। সুযোগ বুঝে বুধবার সকালে কয়েকটি তুষের বস্তার সাথে বাবার বস্তাবন্ধি লাশটিও একটি অটো রিকসাতে তুলে নেয়। তুষগুলো একটি দোকানে বিক্রি করে বাবার বস্তাবন্দি লাশটি ঘুম করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি অটো চালকের সন্দেহ হলে বস্তার ভিতরে কি জিজ্ঞাস করে তখন সোলেমান মিয়া তার বাবাকে হত্যা করার ঘটনাটি স্বীকার করে অটো চালক বুদ্দিন মিয়াকে চুপ থাকার জন্য ভয়ভিতি দেখায়। এ সময় অটো চালক বুদ্দিন মিয়া তার কথার তুয়াক্কা না করে লাশ নিয়ে গ্রামে ফিরে গিয়ে মেম্বারসহ এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানায়। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে সেলেমান মিয়া (২৯) আটক করে। সে সময় অটো চালক বুদ্দিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
দেওরা গ্রামের মেম্বার দুলাল মিয়া বলেন, ঘটনাটি অটো চালক বুদ্দিন আমাকে জানায়। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে চেয়ারম্যান সাহেব থানায় ফোন করে, পরে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ এসে বস্তাবন্দি মাহফুজের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
বাঙ্গরা বাজার থানিার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় ছেলে সোলেমানকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি। মাহফুজ মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় মাহফুজের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।    সংবাদ প্রকাশঃ  ১৬-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email