ফুটপাতের দোকানগুলোতে অধিকাংশ ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

কুমিল্লা ফুটপাত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা
সিটিভি নিউজ।।       মনির হোসেন।। সংবাদদাতা জানান ====
চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দিয়েছে সরকার। তবে কঠোর বিধিনিষেধেও স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে নগরীর কান্দিরপাড়া থেকে কাপড়িয়াপট্টি ফুটপাত গুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। ফুটপাত কিংবা মার্কেটের ভিতরে ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়।
অনেক সময় ক্রেতা-বিক্রেতা দোকানে মাস্ক ছাড়া অবস্থান করছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অবহেলা করলে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই প্রতিহত নয়, করোনা প্রতিরোধ করা জরুরি। সে জন্য শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। বিধিনিষেধ মানতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর কান্দিরপাড়ের সাত্তার খান কমপ্লেক্স,খন্দকার হক টাওয়ার,ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়া,সমবায় মার্কেট,নিউমার্কেট,হাজী প্লাজা,গণিভূইয়া ম্যানশন,ইস্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা গেলে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ফুটপাতে ও মার্কেটের ভিতরের দোকানে অনেকে ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ছাড়াই অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে অধিকাংশ ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই।
বিশেষ করে নগরীর প্রায় ফুটপাত গুলোতে ভিড় দেখা যায় সবচেয়ে বেশি, যা সত্যিই এই পরিস্থিতিতে গা শিউরে ওঠার মতো। মার্কেটের ভেতরেও প্রায় একই চিত্র। ভিড়ের মধ্যে দোকানে দোকানে ঘুরে শপিং করছেন ক্রেতারা। তাদের দেখে মনে হওয়ার উপায় নেই বর্তমান সময়টি করোনা মহামারির।
করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব একেবারেই উপেক্ষিত। অনেক দোকানদার ও ক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার না করতে দেখা গেছে। এছাড়া কেউ কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে বা দোকানে রাখলেও অধিকাংশ দোকানেই তা দেখা যায়নি। পুরো চিত্র দেখে মনে হয়েছে, করোনার ভয়াবহতা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে নগরী।
এ বিষয়ে নগরীর মনোহরপুর বাসিন্দা মেহজাহ্ উদ্দিন জাহেদ বলেন, ভেবেছিলাম করোনার ভেতর এখন মার্কেটে লোক কম। সেজন্যই কেনাকাটা করতে আসা, যে ফাঁকায় ফাঁকায় একটু শপিং সেরে নেই। কিন্তু এখন তো এসে দেখি অন্যরকম চিত্র। এরকম জনসমাগম হলে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে।
আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করছেন। ক্রেতাদের দিচ্ছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক না থাকলে দিচ্ছেন না সেবা। তবে উল্টো চিত্র ফুটপাতের দোকানগুলোতে। তারা স্বাস্থ্যবিধি পালনে দেখা গেছে অনীহা।
বাগিচাগাঁও এলাকার আবুল কাসেম পরিবার একাধিক সদস্য নিয়ে সাত্তার খান কমপ্লেক্স থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। দোকানদারদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মানবো। এখানে মোড়ে মোড়ে ভিড়। যেখানে যাই সেখানেই মানুষের জটলা। এখন কে মাস্ক পড়ছে আর কে পড়ছে না আপনি কি করে খেয়াল রাখবেন।
নগরীর সাত্তার খান কমপ্লেক্স ও খন্দকার হক টাওয়ারে ও নিউমার্কেটর কিছু সংখ্যক দোকানে দেখা যায় কর্মচারীদের মুখেই মাস্ক নেই। বিধিনিষেধ কেনো মানছেন না জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা চলি। বেচাকেনা নেই, ক্রেতা নেই তাই আমরা মাস্ক খুলে রেখেছি। অবশ্যই আরেকজন কর্মচারী ইশারায় বলার পর তাদের মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. খালেদ মাহমুদ বলেন, করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে গণপরিবহন এবং মার্কেটগুলো থেকে। যেহেতু সরকার ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে মার্কেটে খুলে দিয়েছে সেহেতু তাদের উচিত স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলা। সেক্ষেত্রে প্রথম কাজ হলো- অবশ্যই ক্রেতা-বিক্রেতাকে মাস্ক পড়তে হবে। করোনা প্রতিহত নয়, প্রতিরোধ করতে হবে। যদি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে যায় তাহলে আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যবিধিকে অবহেলা করলে আবার সংক্রমণ বাড়বে। আবারও আমাদের শঙ্কায় পড়তে হবে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email