ফসলী জমির পাশে অপরিকল্পিত বৃক্ষরোপন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক

সিটিভি নিউজ।।  মানিক ঘোষ   ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- জানান ===
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে যত্রতত্র বৃক্ষ রোপনের ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে আবাদী জমির পরিমাণ। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের আড়–য়াকান্দি গ্রামের অধিকাংশ জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে বনজ ও বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। ফলে আবাদী জমির পরিমাণ কমে গেছে। এ কারণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সিদ্ধান্ত নেয় তারা তাদের জমিতে রোপনকৃত বনজ ও বৃক্ষ কমিয়ে ফসল আবাদের ঝুঁকবে তারা। এ ব্যাপারে বৃক্ষ কাটার অনুমতি চেয়ে গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে। ফসলী জমির পাশে রোপনকৃত বৃক্ষ একদিকে যেমন ক্ষেতের ছায়া দিয়ে ক্ষতি করছে পাশাপাশি ফসলের মধ্যে গাছের মরাপাতা পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। আবাদী ফসল মরে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধান, পাট, গম, ভূট্টা, মুসূর ও সরিষা সব ফসলই নষ্ট হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকেরা।
আড়–য়াকান্দি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মিলন, মোজাম, বিলু, রওশন, কবির, আনোয়ার, লতিফ, রবিউল ও সিরাজুল অভিযোগ করে বলেন, ওই গ্রামের সাবেক একজন কলেজ শিক্ষকের ১৬ বিঘা মেহগনি বাগান রয়েছে। তিনি জমির সিমানা ঘেষে বনজ ও বৃক্ষ রোপন করার ফলে বাগানের চারপাশে ফসলী জমি গাছের ছায়া ও পাতা পড়ে সকল ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাকে একাধিকবার বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি কর্নপাত না করে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এভাবে ওই শিক্ষক আড়–য়াকান্দি গ্রামের আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে প্রতারনা করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
এ বিষয়ে পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন বলেন, আড়–য়াকান্দি গ্রামের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার কাছে এসেছে মাঠের আবাদী জমির পরিমাণ বাড়াতে তারা যার যার গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকলের স্বার্থে আমি নিজেও মাঠে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে আবাদী জমির পরিমাণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলাকার মানুষের সুবিধার্থে যে কোন সিদ্ধান্তে আমি একমত আছি।

সংবাদ প্রকাশঃ ১৩০৩২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ