প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে অপহরণ নাটক

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার এক কিশোরকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে তার পরিবারের লোকজনের মুঠোফোনের নম্বরে খুদেবার্তা পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনা জেলা সদরের চৌরাস্তা মোড় থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করার পর আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। ওই কিশোর নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এমনটাই জানিয়েছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরের নাম জসিম হাওলাদার (১৭)। প্রেমের সম্পর্ক থাকা এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। নিজ ইচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়ে পরিবারের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ঘটনার ততদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল সিদ্দিকী জানান, অপহরণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে বিভিন্নভাবে তদন্ত করা হয়। কল লিস্টের সূত্র ধরে জানা যায়, একটি মেয়ের সাথে জসিমের নিয়মিত কথাবার্তা চলতো। ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকেই এই নাটক সাজানো হয়েছিল।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ফতুল্লার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার স্টিল মিল শ্রমিক আল আমিন হাওলাদার তার ছোট ভাই জসিম হাওলাদার গত ১৩ অক্টোবর রাত থেকে নিখোঁজ বলে জানান। ১৬ অক্টোবর এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। সাধারন ডায়েরির দুই দিন পর বাদীকে ফোন করে এবং ম্যাসেজ (খুদেবার্তা) পাঠিয়ে জানানো হয় যে, তার ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা না দিলে অপহৃতকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করা ওই ফোন নম্বরের অবস্থান নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটায় নেত্রকোনা সদর থানার চৌরাস্তা মোড়ের একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকানের ভেতর থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকা উত্তোলনের সময় পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অপহরণের নাটক সাজানো জসিম জানায়, তাকে অপহরণ করা হয়নি। বাসা থেকে টাকা নেয়ার জন্যই সে আত্মগোপন করে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল।
ওসি আসলাম হোসেন বলেন, মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে পুলিশকে হয়রানি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। মানবিক দিকে খেয়াল করে তেমনটা করা হয়নি। ওই কিশোরকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৪১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ