প্রাণভয়ে বাড়ি ছাড়া পরিবার।। মুুরাদনগরে একটি পরিবারের বসতভিটা দখল করে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

 ক্যাপশন ঃ মুরাদনগর উপজেলায় বসতভিটা দখল করে সিমানা প্রাচীর নির্মান করা হচ্ছে এবং ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিটিভি নিউজ।।   মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা ঃ===========
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একটি পরিবারকে মারধর করে সিমানা প্রাচীর নির্মান করে বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে বসতভিটা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে। অপর দিকে ঘরে ঢুকে নারী-শিশুদের শ্লীতাহানি ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের মেলামচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষর্দশী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দখলকৃত জমিতে প্রৈত্রীক সূত্রে দীর্ঘদিন থেকে মৃত্যু আব্দুল গনির ছেলে ইয়াকুব আলী(৫৫) স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিল। নিজ ভাই ওয়াহেদ আলী ও ফারুক মিয়ার সাথে জমিটির কিছু অংশ নিয়ে বিরোধ চলছিলো। সেই বিরোধের জেরে শুক্রবার বিকেলে উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওয়াহেদ আলী ও ফারুক মিয়াসহ কিছো লোকজন ইয়াকুবের বসত বাড়ির ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনিদের শ্লীতাহানি ও মারধর করে লোটপাট চালায়। ঘরে থাকা সকল সদস্যদের ঘর থেকে বের করে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে ওই বসতবাড়িটিতে সিমানা প্রাচীর নির্মান করে বসত বাড়িটি দখল করে নেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের ইয়াকুব আলীর স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, এর আগে এলাকার লোকজন বেশ কয়েক বার সালিশি বৈঠক করেছেন। কিন্তু ওয়াহেদ আলী ও ফারুক বার বার স্থানীয়দের বৈঠককে অমান্ন্য করে আজ আমাদেরকে মারধর করে বাড়ি ঘর দখল করে নিয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
অভিযোক্ত ওয়াহেদ আলী সকল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ওই জমিটি আমাদের। ইয়াকুব জমিটির উপর বসবাস করতো। সে এখান থেকে চলে যাবে বলছে কিন্তু যাচ্ছেনা। তাই আমারা জমিটিতে বাশঁ দিয়ে বেড়া তৈরী করে প্রাচীর দিয়ে ও ঘরে তালা দিয়ে দখলে নিয়েছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।   সংবাদ প্রকাশঃ  ০৩-১১-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ