পোলিং এজেন্টদের তালিকাসহ আমার সমন্বয়কারীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ : তৈমুর

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জনান : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল পেয়িং ফিল্ড নেই। কিছুক্ষণ আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবি যিনি বিএনপির জেলা কমিটি আহ্বায়ক তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পোলিং এজেন্ট নিয়ে আমার জন্য কাজ করছিল, সেই পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকাসহ তারা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। এর আগেও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব চেয়ারম্যানরা আমার পক্ষে নির্বাচনে নেমেছিল তাদের বাড়িতে তল্লাশি হচ্ছে। ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামালের বাড়ি থেকে তার কেয়ারটেকারকে ধরে নিয়ে গেছে। আমার মাইকিং করা অবস্থায় বন্দর থেকে একটি ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। আজকে অহিদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে, জোসেফের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে অথচ তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। সে আমার মহানগর যুবদলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিল। এভাবে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারপরেও আমরা গনতন্ত্রের স্বার্থে এ যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তৈমূর বলেন, জনগণ সেবা পায়নি। বরং এখানে সিটি করপোরেশন একটি বাণিজ্যিক করপোরেশনে পরিনত হয়েছে। ঠিকাদারদের একটা সিন্ডিকেট সিটি করপোরেশন এবং তাদের প্রভাবেই এটা পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আমি আইভীকে কখনও আক্রমন করে কথা বলবো না। তার দল আমাকে আক্রমন করে অনেক কথাই বলছে। আমি তাকে কোন আক্রমন করিনি এবং সেও আমাকে পারসোনালি আক্রমণ করবে না এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তার বাবার সাথে আমার যে সম্পর্ক ছিল আমার প্রানের ভাই, রক্তের ভাই ছিল আলি আহমদ চুনকা। তাকে সবসময় আমি সম্মান করি।
শামীম ওসমানের প্রেস কনফারেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি আমার কাছ থেকে সরানো যাবে না। আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা থেকে বিএনপি পড়বে। একটা জিনিস প্রমানিত এমপি এবং মেয়রের কথায়। সেটা হল আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন নেই। তাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান। কে কাকে বহিষ্কার করবে, কে কার কমিটি ভাঙবে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখাবে। আমার নির্বাচন যারা করছে আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন নেই। বিভাজন সরকারি দলের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, আমি শামীম ওসমানের একটা বক্তব্যে স্যালুট জানাই যদিও সে বয়সে আমার চেয়ে ছোট। সেটা হল তিনি বলেছেন ভোট জোর করে আদায় করা যায়না। ভোট ভালবাসা দিয়ে আদায় করতে হয়। সরকারি প্রার্থী যেভাবে থ্রেট করছে ফাদার-মাদার বলে এটা একধরনের থ্রেট। যেভাবে চরিত্র হনন করছে, তার পক্ষে যে নামেনি তার বিরুদ্ধেই বলছে। সরকারি দল বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দিচ্ছে যারা তাদের পক্ষে না নামছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শামীম ওসমানের বক্তব্যকে আমি স্যালুট জানাই।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১১-০১-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ