নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে ভোট ফ্যাক্টর : প্রার্থীদের পেছনে রাঘব বোয়াল

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপির কাউন্সিলরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিট নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ইউনিটগুলোর কাউন্সিল সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
এদিকে এবার অন্যান্য জেলাগুলোর মত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলরে জেলা বিএনপির ১০ টি ইউনিট থেকে ১০০ জন করে ১ হাজার কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানা গেছে। তবে এর মধ্যে যদি ফতুল্লা থানা বিএনপি না অন্যকোন ইউনিট তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হন তাহলে আহবায়ক কমিটির ৩১ সদস্য হবেন ভোটার।
জেলা বিএনপির এশটি সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক নিয়মে ভোটের মাধ্যমেই নেতৃত্ব নির্বাচন করবে দলটি। এর আগে এভাবে জেলায় কাউন্সিলর হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা। তবে এবার প্রথম সারির অনেক নেতাই কাউন্সিলরে প্রার্থী হচ্ছেন না। যারা প্রার্থী হবেন তারা ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের সাথে ও কেন্দ্রে যোগাযোগ করছেন।
সূত্রটি জানান, এদিকে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের পেছনে জেলা বিএনপির রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ করা একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা প্রভাববিস্তার করছেন, যারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার প্রভাবশালী নেতা। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। নিজের প্রার্থীদের জেতাতে অনুগত ও নিয়ন্ত্রণাধীন কমিটির নেতাকর্মীদের ভোট সেই প্রার্থীদের বক্সে যেন যায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছেন সেই নেতারা।
রাঘব বোয়ালদের ৩ জনের একটি সিন্ডিকেটের দুইজন এখন রাজনীতিতে প্রকাশ্যে নিস্ক্রিয় থাকলেও পেছনে থেকে তারা কলকাঠি নাড়েন কারণ তারা দুইজন ব্যবসায়ী, মামলা থেকে তারা দূরে থাকতে চান। দুটি উপজেলার রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চান দুইজন ব্যবসায়ী। এজন্য তাদের সিন্ডিকেটের আরেক কেন্দ্রীয় নেতার প্রভাবকে কাজে লাগাচ্ছেন তারা।
দলীয় সুত্র জানায়, ইতোমধ্যে জেলার সভাপতি হিসেবে একজন বিতর্কিত নেতাকে সিন্ডিকেটটি সমর্থন করছেন। সেই নেতাও নিজেকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করতে নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখছেন। তবে সিন্ডিকেটটি এবার নিজেদের লোককে নেতৃত্বে আনার পাশাপাশি যেন দলও সুসংগঠিত হয় এবং রাজপথের জন্য শক্তিশালী হয় সেদিকেও নজর দিচ্ছেন।
ওদিকে অপর আরেকটি গ্রুপ চাচ্ছেন যেন তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রুপটি জেলার নেতৃত্বে না আসতে পারেন। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রে ও স্থানীয় ভোটারদের কাছেও লবিং তদবির করছেন তারা।
এবার কাউন্সিলরে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের ভোট ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আড়াইহাজারের ভোটাররা সকলেই যেকোন একদিকে ভোট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফতুল্লার কমিটি নিয়ে চলমান সমস্যায় এখানে হয়তো ভোটার থাকতে পারে কম। অপরদিকে সোনারগাঁয়ের কেউ কাউন্সিলরে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এখন পর্যন্ত না হওয়ায় তাদের ভোট ফ্যাক্টর ভাবা হচ্ছে। রূপগঞ্জের ভোটও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে কাউন্সিলরে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে থানাগুলোর কাউন্সিল শেষ হলে ঈদের আগেই হয়তো জেলা বিএনপির কাউন্সিলর অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি।
তিনি জানান, আমরা আশাবাদী দ্রুত কাউন্সিলর সম্পন্ন করার ব্যাপারে। থানা ও পৌরসভাগুলোর কাউন্সিলর চলমান আছে এবং দ্রুতই তা শেষ হবে। ঈদের আগেই কাউন্সিল করার কথা রয়েছে আমাদের।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১২-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email