নারায়ণগঞ্জে বশির হত্যা মামলায় মিঠুর যাবজ্জীবন

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে শ্লীলতাহানির করায় খুন হয় বশীর। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত মিঠুকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা সেই সাথে অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন।
বুধবার ( ২৮ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিননের আদালত ৮ জন সাক্ষিদের স্বাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা দেন।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি হলো, ফতুল্লা লামাপাড়া এলাকার জজ মিয়ার ছেলে রবিউল আলম ওরফে মিঠু (৪০)। নিহত বশীর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকার বাদী মানিক চাঁনের ছেলে। নিহত বশীর ফতুল্লা লামাপাড়া ফকির চাঁনের বাড়িতে থাকেন।
এ রায়ের বিষয়ে বেঞ্চ সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বশীর হত্যা মামলার মোট সাক্ষী ১৩ জন। যার মধ্যে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গৃহীত হয়েছে। সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামির বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তাই বিজ্ঞ আদালত আসামি মিঠুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। আসামি মিঠু এতদিন কারোগারে ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টার সময় ফকিরা গামেন্টেস ফ্যাক্টরীর জায়েদা বেগম নামের এক নারী শ্রমিক বাসায় ফেরার পথে উক্ত আসামি পথ রোধ করে শ্লীলতাহানি’র চেষ্টা করে। সে সময় অপরিচিত সেই নারীকে বাঁচাতে প্রতিবাদ করে ভিকটিম বশীর।
সে সময় উক্ত আসামি বশীরের বুকের বামপাশে ছুড়ির আঘাত করে। সে সময় জায়েদা বেগমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামি পালিয়ে যায়।
এ সময় লোকজন আহত বশীরকে ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বশীরকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে নিহত বশীরের বাবা মানিক চাঁন ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৯১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email