সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পাওয়া অজ্ঞাত যুবতীর লাশের পরিচয় সনাক্ত করে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গতকাল রবিবার নারায়ণগঞ্জ জোনের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। গত বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আড়াইহাজার উপজেলার শিমুলতলায় পাওয়া যুবতীর লাশের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে পিবিআই। তার নাম পাপিয়া বেগম (২০)। শনিবার আসামি আরিফুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। সে জানায়, নিহত পাপিয়ার ভাই সাম্মি পাপিয়াকে হত্যা করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই জানায়, আসামি আরিফুল ইসলামের সাথে পাপিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এই সম্পর্ক পাপিয়ার ভাই সাম্মি (হিজড়া) মেনে নিতে পারেনি। সাম্মি চাইতো আরিফুল তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলুক। বিষয়টি পাপিয়া জানতে পারলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। গত ২৭ মে আসামি আরিফুল, পাপিয়া এবং তার ভাই সাম্মি সবাই পাপিয়ার বাসায় ছিল। দুজনের ঝগড়ার কারণে আরিফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে বৃষ্টির কারণে যেতে না পারায় তার পরিচিত একই বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় জনৈক সামিয়ার বাড়িতে অবস্থান করে। কিছুক্ষণ পরে পূনরায় আরিফুল পাপিয়ার ঘরে এসে পাপিয়ার লাশ ঘরের বিছানার উপর দেখতে পায়। এ সময় ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং সাম্মি ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। আরিফুল ঘরের ভিতরে চলে আসায় সাম্মি আরিফুলকে বলে যে, পাপয়িা বেঁচে আছে। পরে তারা একজন স্থানীয় ডাক্তারকে ডেকে এনে জানতে পারে পাপিয়া মারা গেছে। সাম্মির মাধ্যমে তার বাবা জয়নাল, পাপিয়ার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসে। পরে পাপিয়ার পিতা জয়নালের পরিকল্পনামতে আরিফুল ইসলাম, জয়নালের ছেলে মামুন এবং সাম্মি মিলে মৃত পাপিয়ার লাশ ভৈরব ব্রীজ থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতে তারা সবাই মিলে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মৃত ভিকটিম পাপিয়াকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে রওয়ানা হয়। কিন্তু পথিমধ্যে পুলিশের চেক পোষ্ট থাকায় তারা আড়াইহাজারের শিমুলতলায় রাস্তার পাশে জঙ্গলের ভিতরে মৃত ভিকটিম পাপিয়ার লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
উল্লেখ্য গত ২৮ মে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজারের শিমুলতলায় পুলিশ এক অজ্ঞাতনামা যুবতীর লাশ পেলে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ২৯ মে একটি মামলা দায়ের করে। প্রথমে মামলাটি পুলিশের কাছে তদন্তনাধীন থাকলেও পর ২৩ জুলাই পিবিআইেএর কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হলে তারা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।
সংবাদ প্রকাশঃ ২২–১১–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=