নাঙ্গলকোটে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে মেয়ের হাতে বাবা খুন, মেয়ে ও জামাতা আটক

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।      মজিবুর রহমান মোল্লা = নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা =======
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বোনের নিকট সম্পত্তি বিক্রি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতা আবুল কাশেম মোল্লাকে (৭০) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কন্যার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হিতের ছেলে শাহীন বাদি হয়ে বোন জেসমিন বেগম (৩০) ও তার স্বামী পেয়ার আহম্মদকে (৩৫) আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৭সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামে। নিহত আবুল কাশেম মোল্লা (৭০) তুলাতুলি গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে। আবুল কাশেমের ৬ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশেম মোল্লা তার বাড়ির একটি টিনশেড ঘর নির্মাণের জন্য টাকার প্রয়োজন হলে বসতভিটার দেড় শতক সম্পত্তি চট্র্রগ্রামে বসবাসরত তার দ্বিতীয় মেয়ে ফরিদার নিকট দেড়লাখ টাকায় বিক্রি করেন। বুধবার দুপুরে আবুল কাশেম মোল্লা নাঙ্গলকোট সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ফরিদার নামে সম্পত্তি কবলা করে দেন। এতে তার বাড়িতে অবস্থানরত চতুর্থ মেয়ে জেসমিন বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার পিতা আবুল কাশেমকে ঘরে একা পেয়ে তার স্বামী পেয়ার আহম্মদের সহায়তায় কুড়াল দিয়ে তার পিতার মাথার পিছনে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখেন। এর আগে আবুল কাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম তার মেয়ে ফরিদাকে চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য স্থানীয় ইলেকশান বাজারে এগিয়ে দিতে এবং ঔষধ আনতে যান। ফিরোজা বেগম ঘরে এসে তার স্বামী আবুল কাশেমকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বসতঘরের একটি কক্ষের খাটের নিচে তার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ এবং রক্তমাখা কুড়াল ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এসময় জেসমিন বেগম তার মা ফিরোজা বেগমের নিকট তার স্বামীর সহায়তায় পিতাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
জানা যায়, গত ১৮ বছর পূর্বে জেসমিন আক্তারের পাশ^বর্তী বেল্টা গ্রামে বিয়ে হয়। গত ৭ বছর পূর্বে স্বামীর সাথে তার বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে জেসমিন বেগম পিতার বাড়ি তুলাতুলি গ্রামে অবস্থান করেন। তার ওই সংসারে জাহিদ (১৬) ও শামীম (১০) নামে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ২মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের মন্তলী গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে পেয়ার আহম্মদের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর জেসমিন স্বামীকে নিয়ে পিতার বাড়িতে অবস্থান করে আসছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামাল হোসেন বলেন, আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধীর জন্য আদালতের বিচারকের নিকট আবেদন করাবো। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী না দিলে তাদেরকে রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন জানাব।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৮-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email