সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণ শেষে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর ভিকটিম জীবিত অবস্থায় থানায় হাজির হওয়ায় বেকাদায় পড়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। এ নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহেদুল আলাম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি)কে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়। কমিটির বাকী দুই সদস্য হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও ডিআই-১।
সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, ঘটনাটি খুবই চাঞ্চল্যকর। তাই ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে তিন সদস্যের এই একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক জাহাঙ্গীরের ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয়। আর ৬ আগস্ট জিসা মনির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এই মামলায় ৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় জিসা মনির কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ও অটো চালক রকিবকে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এস আই শামীম আল মামুন তিনজনকে রিমান্ডে নেয়। এবং আসামীদের স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় রিামান্ডে মারবে না এই শর্তে। কিন্তু টাকা নিয়ে এস আই অমানসিক নির্যাতন করে তাদের হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে ২৩ আগস্ট ৫০ দিন পর জিসা মনি জীবিত ফিরে আসে এবং থানায় হাজির হয়। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সর্বত্র।
সংবাদ প্রকাশঃ ২৪–৮–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=