না’গঞ্জের আড়াইহাজারে মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ভাঙ্গনের মুখে ১০ গ্রাম

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মেঘনী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ১০ টি গ্রাম ভাঙ্গনের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এতে করে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছেন গ্রামগুলো। প্রশাসনের চোখের সামনেই এ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান থাকলেও এতে ভ্রূক্ষেপ নেই কারোই। এদিনে ১০ গ্রামবাসীর প্রতিটি প্রহর কাটছে ভাঙ্গনের মুখে পতিত হবার শংকা নিয়ে।
বুধবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে ঘুরেও প্রমান পাওয়া যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা সরকার দলীয় সিন্ডিকেটের। তারা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদার মাধ্যমে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন কাজ অব্যাহত রেখেছে। এতে করে ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেনা গ্রামবাসীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনা থানার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ওরফে লতু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর ও কান্দা পাড়ার মাঝে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাাঁদা দিয়ে গ্রামবাসীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ রেখে দিনের পর দিন বালু উত্তোলন করে আসছিল সে। এরই মাঝে চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় গত শনিবার সাত্তার, শাহজালালসহ ২০/২৫ জন লোক লতু চেয়ারম্যানের ড্রেজার পুড়িয়ে দিয়ে গ্রামবাসী পুড়িয়েছে বলে ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে গত সোমবার থেকে কালাপাহাড়িয়া এলাকার সাত্তার, জয়নাল সিন্ডিকেটের সাথে আতাতঁ করে আবারো বালু উত্তোলন শুরু করে চেয়ারম্যান। ফলে কালাপাহাড়িয়া ও খাগকান্দা ইউনিয়নের ১০ গ্রাম ভাঙ্গনের কবলে পড়ার শংকা আবারো কাঁদিয়ে তোলে গ্রামবাসীকে।
কালাপাহাড়িয়া চরলক্ষ্মীপুর এলাকায় উপজেলার প্রস্তাবিত ইকোনোমিক (অর্থনৈতিক) জোন হওয়ার কথা রয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে এ অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া এখানে আশ্রয় কেন্দ্রও রয়েছে, যা দূর্যোগকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশী কাজে লাগানো যায় এবং বিপদে মানুষ এতে আশ্রয় পায়।
এ অঞ্চলে ইকোনোমিক জোন হলে এতে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে উপজেলার। উপজেলার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার পাশাপাশি দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। এ অঞ্চলে সৃষ্টি হবে সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সোহাগ হোসেন জানান, আড়াইহাজারে বালু উত্তোলনের কোন ইজারা দেয়া নেই। বালু উত্তোলনকারাীরা আসে মেঘনা থানা থেকে। খবর পেয়ে আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নিতে নিতে তারা চলে যায়। তারপরও আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৩২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

 

Print Friendly, PDF & Email