ধর্ষণের অভিযোগে দুপুরে গ্রেপ্তার, সন্ধ্যায় রফাদফা

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।        ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর থেকে :–===
ফুফাতো বোনকে ধর্ষনের অভিযোগে সদ্য বিবাহিত মামাতো ভাইকে গ্রেপ্তারের ৫ ঘন্টা পর থানায় বসে রফাদফার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সালিশে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার রায় করে অভিযুক্ত মামাতো ভাই শাহিনের উপর। সেই টাকা থেকে অভিযোগকারী মামাতো বোনকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে রেখে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠেছে।
অভিযুক্ত শাহিন (২৫) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফ নগর গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শাহিন প্রবাসে থাকাকালে দুই পরিবারের সম্মতিতে অভিযোগকারী মামাতো বোনের সাথে বিবাহ ঠিক হয়। গত ১৭ আগষ্ট শাহিন দেশে আসার পর তার মামাতো বোনকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করেন। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শাহিন অন্যত্র বিয়ে করে। শাহিনের বিয়ে করার কথা শুনে ভূক্তভোগি মামাতো বোন তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়। এতেও কোন কাজ না হওয়ায় শনিবার সকালে মুরাদনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন দুপুরে মুরাদনগর থানার এএসআই নুর-আজম অভিযুক্ত শাহিনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযুক্ত শাহিনের বোন ৪ নম্বর আসামী শাহিনা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগকারী আমার ফুফাতো বোন হয়। আমার ভাই বিয়ে করেছে মাত্র ৪ দিন। তার টাকা পয়সা দেখে তাকে বিপদে ফেরার জন্য গ্রামের কিছু খারাপ লোকের কুপরামর্শে সে থানায় গিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করে। তারই জের ধরে শনিবার দুপুরে পুলিশ আমার ভাইকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। থানায় রফাদফার জন্য প্রথমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরো ৩০ হাজার টাকা নেয়। আমাকে বড় স্যার বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে অভিযোগকারীকে ৮০ হাজার টাকা দিবে, বাকী ৬০ হাজার টাকা থানার খরচ বাবদ রাখা হয়েছে।
এই সালিশে উপস্থিত ইউসুফনগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ মাস্টার মুঠোফোনে বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম, তবে বিচার আমি করিনি। দু’পক্ষের উপস্থিতিতে থানায় বসে সালিশ শেষে এক ঘন্টার মধ্যে মেয়েকে ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সালিশকারি এএসআই নূর-আজম বলেন, ফুফাতো বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামাতো ভাই শাহিনকে থানায় নিয়ে আসি। দু’পক্ষের অনুমতি ক্রমেই ওসি স্যারের নির্দেশে সালিশ করা হয়। আর সালিশে মেয়েকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান সালিশের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার অনুমতি ক্রমেই এএসআই নূর-আজম এই সালিশটি করেছে। আমার জানামতে মেয়েটিকে বিবাহ দেয়ার জন্য ওই ছেলের পরিবারের কাছ থেকে এই টাকা নেয়া হয়েছে। আমি কুমিল্লায় আছি, রাতে এসে বিস্তারিত জেনে বলতে পারব।

সংবাদ প্রকাশঃ  ৩-১০-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email