দেবীদ্বারে বেদে পল্লীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার উপকরণ ও শীত কম্বল বিতরণ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।   এবিএম আতিকুর রহমান বাশার  সংবাদদাতা জানান ====
‘দেবীদ্বার বেদে জনগোষ্ঠী সমাজ কল্যাণ সংগঠন’র উদ্যোগে শিশুদের মাঝে শিক্ষার উপকরণ ও শীত কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রমের বেদে পল্লীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেবীদ্বার, জাফরগঞ্জ, বারেরা গ্রামের বেদে পরিবারের শতাধিক শিশুর শিক্ষার উন্নয়নে আদর্শ লিপি বই, স্লেট ও চক বাক্স এবং ৫০ শীতার্থ পরিবারের মাঝে শীত কম্বল বিতরণ করেন।
‘দেবীদ্বার বেদে জনগোষ্ঠী সমাজ কল্যাণ সংগঠন’র সভাপতি বেদে সর্দার আলাউদ্দিন ওঝা’র সভাপতিত্বে এবং বেদে নেতা আদম হোসেন’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এ,বি,এম আতিকুর রহমান বাশার, প্রভাষক কাজী মনিরুল হক, আ’লীগ গুনাইঘর ইউপি সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল হাসান রাসেল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. শফিউল আলম রাজিব, মো. জহিরুল ইসলাম, বেদে নেতা মো. ফিরুজ মিয়া ওঝা, মো. শাহজাহান ওঝা প্রমূখ।
আলোচকরা বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলার শত শত বছরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ঐতিহ্যবহনকারী বেদে সমাজ আজ বিলুপ্তির পথে। তাদের নিজস্ব কোন আবাসন ছিলনা। নৌকাই তাদের জীবন- জীবীকার একমাত্র ভরসা ছিল, নদী-নালা, খাল-বিলের পাশে অস্থায়ি নৌকার বাচাইর ন্যায় ছোট ছোট ঘর নির্মান করে গদাগদী থাকতে হত। শিক্ষার সুযোগ ছিলনা, নাগরিকত্বের অভাবে রাষ্ট্রের কোন সুযোগ ছিলনা। বিয়ে-সাদী দেয়া বা করানো নিজেদের বাহিরে অন্য সমাজে সুযোগ ছিলনা। আজ নদী-নালা, খাল- বিল শুকিয়ে গেছে, নৌকায় জীবীকা নির্বাহের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
বলেন, আমরা এক সময় শাপের খেলা দেখিয়ে, শাপ তোলা, শাপের বিষ নামানো, সিঙ্গা লাগানো, কবিরাজী কায়দায় দাতের পোক খোলা সহ নানা কাজে জীবীকা নির্বাহ করতাম। কেউ কেউ ঝার-ফুক সহ নানা মুখরোচক মন ভোলানো বক্তব্য দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করতাম, এখন মানুষ সচেতন, মুখরোচক মন ভোলানো লক্ষিণধরের কিচ্ছা- কাহিনী, শ্লোক শোনিয়ে, তাবিজ- টোনার উপকারিতা দেখিয়ে মন গলিয়ে অর্থ আয় করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই আদি পেশা থেকে সরে গিয়ে নানা মনোহরী সামগ্রী নিয়ে হকারী, রিক্সা, ভেন চালিয়ে, দিনমজুরী করে জীবীকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।
বর্তমান সরকার নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। নাগরিকত্ব প্রদান, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সহ উপকারভোগী নানা ভাতার ব্যবস্থা করেছে। এখন আর নদী-নালা, খাল-বিলের শেওলার মতো ভাসমান থাকতে হচ্ছেনা। আমরা এখন অনেকদূর এগিয়ে যাছি। তবে দেবীদ্বারের নৃ-গোষ্ঠীর কয়েকশত পরিবার এখনো আবাসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আজকের এ অনুষ্ঠান স্থলেও ভাড়া জায়গায় ১৫টি পরিবার আবাসন হিসেবে ছোট ছোট অস্থায়ী খুপরি নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আমরা স্থায়ী আবাসন চাই, স্থায়ী আবাসন পেলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিশুদের শিক্ষার আলো দেখাতে পারব। সেই প্রত্যাশাই শিশুদের হাতে আদর্শলিপী বই, স্লেট, চক-পেন্সিল তুলে দিয়েছি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৭২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email