ডি-নথির প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন নিয়ে কুবিতে প্রশিক্ষণ শুরু

সিটিভি নিউজ।।   প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক, কর্মকর্তাদের ‘ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত’ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর ই-সার্ভিস বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ ও উপ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। এসময় ডি-নথি প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদুল হাছান, এটুআই এর ডি-নথি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ এটিএম আল ফাত্তাহ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে যাচ্ছেন সরকার, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তর প্রক্রিয়ায় পেপারলেস ক্যাম্পাস তথা অফিস হিসেবে সম্পৃক্ত করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে ‘ডি-নথি’। যার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় পেপারলেসভাবে ফাইল প্রক্রিয়াকরণ ও অনুমোদন সম্পন্ন করতে পারবে। এতে সময় ও কাগজের সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও সুনিশ্চিত হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
এসময় তিনি সবাইকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ডি-নথির ব্যবহার ও বাস্তবায়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার আহ্বায়ন জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ইউজিসির মাধ্যমে দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডি-নথি’ উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডি-নথি’ মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। এটি প্রথমে নতুন জিনিস মনে হলেও কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারবেন এর প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা। ‘ডি-নথি’ মাধ্যমে আপনারা যেসকল শ্রম নির্ভর কাজ করেন তা সহজ হয়ে যাবে। কাজের রেকর্ডগুলি অটোমেটিক্যালি লিপিবদ্ধ করতে পারবেন এবং কম সময়ে, কম শ্রমে দপ্তরগুলোতে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে পারবেন। এখন ডিজিটাল যুগ আমরা ম্যানুয়ালি চিন্তা না করে ডিজিটালি বিষয়গুলো করার চেষ্টা করছি।
‘ডি-নথির বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ই-নথির সীমাবদ্ধতা দূর করতে ডিজিটাল নথির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দপ্তর ‘ডি-নথি’র আওতায় এসেছে। দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি চলবে। এতে প্রথম ধাপে ২০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা প্রশিক্ষণটি পাবে। এর মাধ্যমে আমরা পুরো প্রশাসনিক কার্যক্রমটিকে ‘ডি-নথি’র আওতায় নিয়ে আসতে পারব।
উল্লেখ্য, পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে দেশের আটটি এবং আগস্টে দ্বিতীয় ধাপে দশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি–নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

সংবাদ প্রকাশঃ ০৫১১২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ