জনপ্রিয়তায় হারলেও নৌকায় জিতেছেন আইভী

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : টানা তৃতীয় বারের মত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এবার বেশ পিছিয়েছেন তিনি। তাকে জেতাতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাদেরও। আইভীকে নিতে হয়েছে কেন্দ্র ও প্রশাসনের সহায়তা যা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিরল।
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের মত নির্বাচনে ঘিরে আওয়ামী লীগের একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পুরো নির্বাচনের সময়জুড়ে মাঠে ছিলেন। প্রতিটি থানা এলাকায় গিয়ে করেছেন কর্মীসভা, চেয়েছেন ভোট। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, রূপগঞ্জের এমপি ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে পাপ্পা গাজীদেরও নারায়ণগঞ্জে আসতে হয়েছে শুধুমাত্র আইভীর জন্য ভোট চাইতে।
আইভীর নির্বাচনী শোডাউন থেকে শুরু করে সকল সভা সমাবেশকে ঘিরে শহরে ছিল বহিরাগতদের ব্যাপক আনাগোনা। নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার শেষ দিনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সমাবেশ করেন আইভী। সেই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফতুল্লা, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ থেকে বাস-ট্রাকসহ নানান যানবাহনে করে শহরে প্র
বেশ করে বহিরাগতরা। তাদের অনেককেই সেদিন লাঠিসোটা হাতে শহরে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
শহরের দুই নং রেলগেট এলাকায় সড়ক দখল করে করা হশ সমাবেশের মঞ্চ। সমাবেশে যোগ দিতে আসা বেশিরভাগ লোকজনই শহরের বাইরে অর্থাৎ লিংকরোড এবং এর আশপাশের এলাকা পর্যন্ত ট্রাকে করে আসেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়ে তা সফল করেন তারা। আইভীর সমাবেশে সিটি করপোরেশন এলাকার জনগনের অনুপস্থিতিই প্রমান করে জনপ্রিয়তার দিক থেকে অতীতের চেয়ে এবার কতটা পিছিয়ে ছিলেন তিনি।
আইভীকে জেতাতে কেন্দ্রীয় নেতারাও কম কষ্ট করেননি। জেলা প্রশাসকের সাথে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেও রাতে গোপন বৈঠক করেছেন। তাদের অনেকে আবার এও বলেন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে ঘুঘুর ফাঁদ দেখিয়ে দিয়েছেন। ঘোষণা দিয়ে ব্যাবহার করেছেন পেশি শক্তি, ভেঙেছেন নির্বাচনী আচরনবিধি।
তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনের সময় একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের পে্িরসডিয়াম সদস্য নানকের বক্তব্য ও ডিসির সাথে সেই গোপন বৈঠকের পরেই তার লোকজনদের ধরপাকড় শুরু হয়। এ বিষয়ে একাধিকবার তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি তারা।
নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে প্রশাসনিক প্রভাবে নাজেহাল করার রেকর্ড অতীতে আইভীর নেই। নারায়ণগঞ্জে ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচত ছিলেন তিনি। তবে এবার প্রশাসনের সহায়তা নিতে হয়েছে আইভীকে। এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় এই মেয়রের জন্য এটা জনপ্রিয়তায় ভাটা নয় তো কী, সে প্রশ্ন থাকছেই।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১২-০২-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ