চিত্রা এখন নেই নদী আছে ধানের আবাদ

সিটিভি নিউজ।।     মানিক ঘোষ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি  জানান ====ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ ও কোটচাদপুর উপজেলার মধ্যে দিয়ে চিত্রা নদী প্রবাহিত হলেও নদী জুড়ে আছে মাছের পরিবর্তে ধানের চাষ।নদীর দুইপাড়ের মাটি কেটে ধনের চাষ শুরু করেছে। নদীতে পানি না থাকায় অনেকে আবার নদীর তীর সেচের ব্যবস্থা করে এই চাষ শুরু করেছে। নদীটি দখলের ফলে নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় ভরা মৌসুমেও পানি থাকে না। যে নদীতে এক সময় বড় বড় জাহাজ, লঞ্চ, ইস্টিমার চলতো সেই নদীতে এখন ধানের চাষ হচ্ছে।জেলার প্রায় ১শ ৩০ কিলোমিটার চিত্রা নদীর বুকে স্থানীয় কৃষকরা ধান চাষ সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করছে। এক সময় চিত্রা নদী নিয়ে গর্ব করতো, আবার কেউ চিত্রা নদীর রুপে মুগ্ধ হয়ে কন্যা সন্তানের নাম রাখতো চিত্রা রাণী,বাড়ীর নাম রাখতো চিত্রা ভবন, ছেলে সন্তানের নাম রাখতো চিত্ত কুমার,পরিবহনের নাম রাখতো চিত্রা পরিবহন, কেউবা আবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম রাখতো চিত্রা দিয়ে, চিত্রা ক্লিনিক, চিত্রা ডায়াগণষ্টিক সেন্টার, চিত্রা স, মিল,চিত্রা ইলেকট্রনিক্স,চিত্রা ভবন এ রকম বহু প্রতিষ্ঠানের নাম করণ করা হয়েছে।
যে নদীর পানি স্রোতের গতি বেগ ছিল প্রবল, আজ চিত্রা নদী হয়েছে ধানের ক্ষেত। বর্ষাকালেও নদীতে পানি থাকেনা। চিত্রানদীটি ৮টি জেলার ২৬টি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খুলনা জেলার রুপসা নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই নদীর পানির উপর নির্ভর করে এক সময়ে প্রায় এক লাখ একর জমিতে সেচের আওতায় উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, আখ, পাটসহ নানা রকমের সবজি উৎপাদন করা হতো। জেলার কোটচাদপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে চিত্রা নদী দিয়ে এক সময় ঢাকা,ফরিদপুর,বরিশাল অঞ্চলের কৃষকরা ব্যবসা করতো। এই নদীতে এলাকার মৎসজীবিরা প্রচুর পরিমানের মাছ আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু নদীতে এখন পানি না থাকায় নদীর মধ্যেই ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ শুরু হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বিকাশ চন্দ্র রায়(যশোর সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক) বলেন, এক সময় এই চিত্রায় বড় বড় নৌকা চলতো। ব্যবসায়ীরা নদীর বুক দিয়ে দেশ বিদেশ যেত। কিন্তু চিত্রা নদীর যৌবন আর নেই। বিভিন্ন এলাকায় দখলদারা নদীর পাড়ে দখল করে ধানের চাষ সহ কেউ বাড়ি গড়ে তুলে নদীর স্রোতে বাধা গ্রস্থ করে রাখছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার পাচঁকাহুনিয়া গ্রামের শিক্ষক নারায়ন চন্দ্রবসু জানান, চিত্রা নদীর পাড়েই আমার বাড়ী, প্রতি নিয়ত আমরা নদীতে গোসল করতাম, মাছ ধরতাম চিত্রা তো এখন মরা খাল। বর্ষার সময় একটি পানি থাকে আর অন্য সময়ে এই নদী শুকিয়ে চৌচির হয়ে থাকে। যাদের বাড়ি চিত্রার পাড়ে তারা ধানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, চিত্রা নদী দখলকারীরা দখল করে চাষ আবাদ করছে। চিত্রানদীকে খনন করে পুনরায় এই নদী আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হবে এবং চিত্রাকে খুব শিঘ্রই দখলমুক্ত করা হবে জানান।

সংবাদ প্রকাশঃ ২৮০৩২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ