চন্দনাইশ পৌর নির্বাচন: এলডিপির আইনুল কবির এবার ঘুরে দাড়াতে চান

সিটিভি নিউজ।।    শান্তনু হাসান খান(বিশেষ প্রতিনিধি) জানান ==
ডিসেম্বরে সারাদেশে প্রায় ২৩৪ টি পৌরসভায় ভোট করার জন্য কমিশন অনুমতি দিয়েছে। পৌরসভা ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমান পরিষদের মেয়র, নির্বাচন আয়োজনে কোনো জটিলতা আছে কি না এসব সার্বিক তথধ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর গতবারের মতো এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে। মেয়র এইচ.এস.সি. পাশ হতে হবে ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এস.এস.সি. পাশ হতে হবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর ছড়ালেও শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, একটি গুজব ছড়ানো হয়েছে মাত্র। সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আর সেই আলোকে দেশে বর্তমানে তিনশর বেশি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪ টি পৌরসভায় ভোট হয়। অন্যান্য পৌরসভার ভোট মেয়াদ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর যেসকল পৌরসভাগুলোর ভোট হয়েছিল তার বেশির ভাগের মেয়র ও কাউন্সিলররা পরের বছরের জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাসে শপথ নেন। ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ হিসেবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর গতবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচন হবে। মেয়র প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো বাধ্যতামূলক নয়।
আর তাই এবার চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি পৌর নির্বাচন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। চট্টগ্রামের সন্দীপ, বাশঁখালি, পটিয়া, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, বারৈয়ার হাট, মিরসরাই আর সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচন চূড়ান্ত। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারীতে বেলেটের মাধ্যমে এখানে ভোট গ্রহন। একটি ১ম শ্রেনীর পৌরসভার যতপ্রকার সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা নাগরিক জীবনে, তার কোনোটাই নেই। ধুকে ধুকে উন্নয়নের কাজ চলছে ।এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষদের ২০০৩ সালের পর এই পৌরসভাটির মাঝারি অবকাঠামো ঘটেনি। চেয়ারম্যান বা মেয়ররা যা করেছেন তা ছিল সরকারি রুটিন ওয়ার্ক মাত্র। ২০১৫ তে প্রধান দুটি দল মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ওতে আওয়ামী লীগের মোঃ মামবুবুল আলম খোকা মেয়র নির্বাচিত হন। সব জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে এবার সরকার দলীয় প্রার্থী আগের মেয়র খোকা থাকছেন। দুদিন আগে নির্বাচন সিলেকশেন কমিটির কাছে মোজাম্মেল হক, রফিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও শেখ টিপু চৌধুরী নমীনিশেন চেয়েছিল। কিন্তু যোগ্য ব্যাক্তি হিসেবে দল থেকে কেউ পাননি । পুনরায় খোকা নৌকার প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করবেন। অপর দিকে বিএনপির ৩জন প্রার্থীও নাম শুনা গেলেও জোটগত ভাবে এলডিপির একমাত্র প্রার্থী-আইনুল কবির । এদিকে বিএনপির সিনিয়র লিডার রিজভী আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, চট্টগ্রামের অনেক পৌরসভায় বিএনপির যোগ্য প্রার্থী না থাকার কারণে এলডিপির প্রার্থীকেই সবাই যোগ্য মনে করছেন। আর সে আলোকে এবার চন্দনাইশ থেকে আইনুল কবিরের নাম উঠে এসেছে।
মাত্র ৫১ বছরের আইনুল কবির চন্দনাইশের ২ নং ওয়ার্ডের ভোটার । উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হিসেবে এলাকায় তার অবস্থান খুবই ভালো। একসময় শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন করে ছাত্র দলের রাজনীতি করতেন আশির দশকে। এর পর দক্ষিণ জেলা বিএনপির সক্রিয় সদস্য হয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৯০ তে গণঅভ’্যথানের দক্ষিণ চট্টগ্রামের তার নেতৃত্বে রাজপথ ছিল উত্তাল । আর সে সময় ড. কর্ণেল (অব) ওলী আহমদ এর নেতৃত্বে আইনুল কবির ছিল জনগনের সাথে । জীবনের প্রথম নির্বাচনে তিনি আশাবাদী । এ প্রতিবেদককে বলেন, সুষ্ট ও অবাধ নির্বাচনে যদি সকল ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে পারেন. তাহলে ইনশাল্লাহ এলডিপি ঘুরে দাড়াবে। তিনি বলেন, এখানের যেকোনো প্রার্থীকে ডিঙিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারবো। আর নির্বাচিত মেয়র হলে একানকার পুঞ্জীভূত সমস্যা চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে চন্দনাইশ পৌরসভাকে ঢেলে সাজাবো। এদিকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৯ হাজার ৯২৫ ভোটার। এর মাঝে ৩০% নবীন ও তরুন ভোটাররা আগামীতে আইনুল কবিরকে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করতে এখন থেকেই তার পেছনে একাট্টা।
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে কামিয়াব করলে এখানকার ড্রেনেজ সিস্টেম, শহরের লাইটপোস্ট আর ডাস্টবিন নির্মানসহ জলাবদ্ধতা নিরসন করবো, পাশাপাশি ড্যাম্পিং ষ্টেশন নির্মানের মধ্যে দিয়ে চন্দনাইশ পোরসভাকে বাসযোগ্য নগরায়ন করে তুলবো আর এলাকায় চিত্ত বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে ।তিনি বলেন, এলাকার দুঃস্থ মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। সবকিছুই হবে পৌরসভার বাজেট আর বরাদ্দের উপর। আমার সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমি যতটুকু পারি জনগনের পাশে থাকবো। অতীতে যেমন তাদের সুখে দুঃখে ছিলাম,এই করোনাভাইরাস প্রভাবের মধ্যেও তাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। মাদক সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদ উন্নয়নের বাধাগ্রস্ত হয়। মাদকের বিরুদ্ধে আমি অতীতে যেমন সোচ্চার ছিলাম, এখনো আছি । আগামীতেও থাকব।আগামীতে চন্দনাইশকে আধুনিক নন্দিত একটি সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত নগরায়ন করে তুলতে চেষ্টা করবো। আর সবকিছু হবে আমার রাজনীতি গুরু ড. কর্ণেল (অব) ওলী আহমদ এর দিকনির্দশনা ও পৃষ্টপোষকতা।
পরিশেষে আইনুল বলেন, সারাজীবন একটি দলের আদর্শ বহন করে আসছি। দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাজনীতি বানিজ্য করি নাই। কোনো গ্রপিংয়ের রাজনীতি আমি করিনাই। কাউকে করতে উৎসাহ দেই না। এখন শুধু আমার একটাই গ্রুপিং, আর তা হলো- জনগনের সেবক হওয়া।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ