ঘরের কথা ঘরে বলেন, বাইরে বলবেন না : সেলিম ওসমান এমপি

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান বলেছেন, যে জিতেছে তাকে সহযোগিতা করতে হবে। তা না হলে নারায়ণগঞ্জ এগুতে পারবে না। আপনারা মেয়রকে সহযোগিতা করবেন। ডুয়েল খেলবেন না। ঘরের কথা ঘরে বলেন, ঘরের কথা বাইরে বলবেন না। আপনাদের কাছে অনুরোধ সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মাস্ক না পড়ে বাহিরে বের হলে যেন লজ্জা পায়। ফ্রী মাস্ক দিবেন না। মাস্ক পড়ে সকলকে চলতে হবে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রয়ারি) রাতে নাসিকের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
সেলিম ওসমান বলেন, কিন্তু এখানে অনেকেই মাস্ক পড়েননি। এই ভুল আমাদের হয়। রেষ্টুরেন্টে গিয়ে বসে খেলেও মাস্ক খুলতে হয়। আমাদের নারায়ণগঞ্জে কোন বিধিনিষেধ নেই। সকলে ইচ্ছে মত চলাফেরা করছে। কেউ কিছু মানছে না। এখানে কিন্তু বলা আছে একশ জনের বেশি লোক নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে না। আপনাদের দেখতে হবে আপনাদের এলাকায় যেন করোনা না ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, আমি শকু ও মুন্নাকে ডেকেছিলাম। নিতাইগঞ্জে একটা টিকাকেন্দ্র বসছে। তার এলাকার লোকজন টিকা নিয়ে নিতে পারবে। বন্দরে আমাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা করতে পারে যে আমার সাথে নির্বাচন করেছে। অনেকে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে আমার পক্ষে নির্বাচন করেছে। নারায়ণগঞ্জ ব্যাবসায়ের নগরী। তারা সবসময় সহযোগিতা করলেও এখন তারা বিপদগ্রস্ত।
তিনি বলেন, করোনা ব্যাবসার সাথে জড়িতরাই এখন সুবিধায় আছে। তারা এক টাকার মাস্কও পনেরো টাকা বিক্রি করেছে। নারায়ণগঞ্জে আমরা হয়ত ১২শ লোক ব্যবসা করি। মাল বানানো হয়েছে কিন্তু তা তো ইউরোপে যায় না। একটা মাফিয়া চক্র তুলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সেকারনে আমাদের লস হচ্ছে। তারপরেই আমরা চালাচ্ছি শ্রমিকদের কারনে। আমাদের শ্রমিকরা শিপমেন্টের অনেক দাম দেয়, সময়ও দেয়। সেকারণেই আমরা বিশ্বে এগিয়ে আছি। ইউরোপে করোনা হওয়ার কারনে আমাদের মাল বিক্রি হচ্ছে না। তবে আশার কথা ফেব্রুয়ারি থেকে এটা নিচের দিকে যাবে এবং মার্চ থেকে করোনা থাকবে না।
এমপি বলেন, আমরা বসন্ত, হাম, ডায়ারিয়া, কলেরা দেখেছি। প্লেগ নামক একটা রোগ ছিল এরচেয়েও ভয়ানক। তবে আমরা এর থেকে পরিত্রানের দিকে যাচ্ছি। ঢাকার মেয়র আমার ছোটভাই আতিক শহরে তার কাজের মাধ্যমে ডেঙ্গু কমিয়ে এনেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ধরি কেউ টিকা ছাড়া থাকবো না কেউ মাস্ক ছাড়া চলবো না। এটা নিয়ে ওয়ার্ডের লোকজন নিয়ে বসলে এর সমাধান পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরকে শতভাগ টিকার আওতায় আনতে পারি কিনা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অনেক মুখ কালাকালি হয়েছে। তবে প্রশাসনের সকলকে ধন্যবাদ দিতে হবে কারন কোন রক্তপাত হয়নি। অনেক স্থানীয় পত্রিকা পক্ষ নিয়েছে যেটা দুঃখজনক। হারজিতের খেলা শেষ। আমি সময় পেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বসবো। আমরা সকলকে সাহায্য করবো। অনেকে হাজার পত্রিকা বের করেন কেউ একশ পত্রিকা বের করেন। আপনাদের পত্রিকায় করোনা সচেতনতার জন্য একটা জায়গা রাখেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য আপনারা এ কাজগুলো করেন। আপনারা সমালোচনা করেন, অন্তত জেনে সমালোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়রের কাছে আবেদন সম্মিলিত ভাবে কাজ করেন। আমাদের দরকার না হলে নাই। কাউন্সিলরদের সাথে মিলে মিশে কাজ করেন। রাস্তার যানজট, ফুটপাতের দোকান আস্তে আস্তে নিরসন হবেই। আমাদের শান্তির চরটা দাঁড় করাতে পারলে অর্ধেক লোক ওইদিকে চলে যাবে। তখন নয়ামাটি উকিলপাড়া থাকবে না। সময় দিতে হবে। রাতারাতি সিঙ্গাপুর হবে না। লিংক রোড যে এত তারাতাড়ি বড় হবে কেউ ভাবেনি। নারায়ণগঞ্জের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা আছে। জনপ্রতিনিধি মানে আমি স্বেচ্ছায় মানুষের উপকারের জন্য এসেছি। আপনি রাস্তাঘাট বানানোর আগে কয়েকজন শিক্ষিত মানুষ বানিয়ে দেন। আজকে আমাদের দেশ থেকে কী রপ্তানি হয় না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সামনে থেকে সালাম পাই পেছন থেকে গালি খাই। আমার মৃত্যুর পরে যদি কেউ বলে মানুষটা ভাল ছিল তাহলে আল্লাহর কাছে সরাসরি সেটা চলে যায়।
তিনি বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কমিটি করেন। সেখানে সকলে থাকবে। এটা বানালে আপনাদের কাছ থেকে আর কেউ কমিশনার পদ নিতে পারবে না। বাচ্চাদের আনন্দ দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৩-০২-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email