‘ক্রেতাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ’ ব্রাহ্মণপাড়ায় রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি

সিটিভি নিউজ।।   সৌরভ মাহমুদ হারুন   ব্রাহ্মণপাড়া  (কুমিল্লা)  প্রতিনিধি  জানান===
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় দৈনিক বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে সবজির দাম।বেড়েছে
মুরগি-ডিমের দামও। এছাড়া মাছ, মাংস, চাল, তেলের দাম আগে থেকেই বাড়তি। এছাড়া
রয়েছে তৈলের কৃত্রিম সংকট। কয়েক বাজার ঘুরেও তৈল পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়া যায় তা
বিক্রি হচ্ছে ইচ্ছেমতো দামে। সবকিছু মিলিয়ে বাজারে গেলে বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির
মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বাজারে সবজির দামও বাড়তি। কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলার সাপ্তাহিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০
টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৭০
টাকা, করলা ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৮০
টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা,
চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাকরোল ৬০ টাকা। বাজারে
আলু বিক্রি হচ্ছে ৬ কেজি ১০০ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।
বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ
বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গতসপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। কাঁচা কলার হালি বিক্রি
হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০
থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি
১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ
১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০
টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে আগের দামে
কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫
টাকায়। বাজারে গতসপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা আটার। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে
৩৫থেকে ৩৮ টাকায়। গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন ১১৫ টাকা।
হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।
সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। বাজারে আবারও বেড়েছে
সোনালি (কক) মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। মাছ
বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে
১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। অন্যদিকে গত
সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা।
বাজারের এরকম উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে উপজেলার মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত
পরিবারের লোকজন। তারা ক্ষোভে প্রকাশ করছেন। বাজার করতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বললে
তারা জানান, শীঘ্রই প্রশাসনের কাছে জোর দাবী তারা যেন ন্ত—ত বাজারগুলো মনিটরিং করেন।সংবাদ প্রকাশঃ  0৯-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ