কুমিল্লা – বুড়িচং – ব্রাহ্মণপাড়া মিরপুর সড়ক  সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা 

সিটিভি নিউজ।।    মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান ====
কুমিল্লা, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মিরপুর সড়ক নাম মাত্র বাস চলাচল করলেও এ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সিএনজি ( অটো রিকশা) ও বেটারী চালিত রিকশা।  প্রতিদিন এ সড়কে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার এ যানবাহন চলাচল করছে। তাড়াতাড়ি আশা যাওয়া সুবিধা হওয়ায় এ সব যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কুমিল্লা থেকে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কাছাকাছি হওয়ায় অফিসে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের এ সড়কে চলাচল।
 দুই উপজেলা মানুষের চলাচল কেন্দ্র করে, কিছু অসাধু সিএনজি (অটোরিকশা) চালকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন। নিজেরাই ইচ্ছে মতো বাড়তি ভাড়া আদায় করতেছে।প্রশাসন কোন উদ্যােগ নিচ্ছেনা বলে দাবি করছে সচেতন মহলের।
ভুক্তভোগী যাত্রী আহাদ মিয়া ( শ্রমিক)  জানান,   ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা থেকে জেলা সদরে প্রতিদিন যাতায়াত। আমাদের মত  জনসাধারণ জীবিকার নির্বাহ করার জন্য জেলার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন সকাল, সন্ধ্যা এবং রাতে শত শত মানুষ যাতায়াত নির্ভরশীল হচ্ছে সিএনজি আটো রিকশায়।  এই সুযোগে কিছু সিএনজি (অটোরিকশা) চালক নিজের ইচ্ছে মতো  ভাড়া আদায় করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের জানা যায়, অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন সিএনজি (অটোরিকশা) ড্রাইভার রয়েছে । যাদের কোন প্রকার ড্রাইভার লাইসেন্স নেই। নেই যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা। এমন অদক্ষ ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনার কারণে সড়কের প্রতি নিয়ত ঘটাচ্ছে দূর্ঘটনা। যাত্রীদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা – মিরপুর সড়কে
আকাশ মেঘলা হলে ভাড়া বৃদ্ধি পায় বৃষ্টি পড়লে ভাড়া বেড়ে যায় গাড়ি কম থাকলে ভাড়া বেড়ে যায় যাত্রী কম থাকলে ভাড়া বেড়ে যায় যাত্রী বেশি থাকলে ভাড়া বেড়ে যায় মাগরিবের আজানের পর ভাড়া বেড়ে যায় বৃহস্পতিবার এ ভাড়া বেড়ে যায় এবং জাতীয় কোন সমস্যা বা উৎসব দেখলে-ই ভাড়া দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য কারণসমূহ ছাড়া আরও অনেক অজানা কারণ রয়েছে ভাড়া বৃদ্ধি কারন।
 কুমিল্লা বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া ভাড়ার নিধারিত চার্ট থাকলেও সন্ধ্যার পর কোন কাজে লাগে না।
 শাসনগাছা থেকে  নির্ধারিত সিএনজি ভাড়া ৫০ (স্বাভাবিক) টাকা হলেও, প্রায় সময় ৭০,৮০ ও ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করে থাকে।
কুমিল্লা থেকে বুড়িচং ৩০ টাকা ভাড়া হলেও প্রায় সময় ৪০,৫০, ৬০ টাকা আদায় করছে,  কখনো ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক সিএনজি (অটোরিকশা) ড্রাইভার জানান, কিছু ড্রাইভার বাড়তি বাড়া নিচ্ছে ঠিকই । তবে আমরা কি করবো।আমরা জিবির নামে প্রতি দিনই হয়রানীর শিকার হচ্ছি।প্রতিটি সিএনজি থেকে মাসিক চুক্তি বৃত্তিতে টোকনের টাকা দিতে হচ্ছে। এ সড়কে একটি সিএনজি ( অটোরিকশা)  চলাচল করলে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত জিবি এবং অন্যান চাঁদা দিতে হয়। আমরা সারাদিন পরিশ্রম করে গ্যাস নেওয়া সিএনজির মালিক জমা এবং জিবি দিয়ে মাঝে মধ্যে খালি পকেটেও বাড়ি ফিরতে হয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল আলিম খান জানান, আমি ব্রাহ্মণপাড়া থেকে প্রতিদিন এসে কুমিল্লা কোট করি যাওয়ার পথে প্রতিদিন আমাকে বাড়তি ভাড়া গোনতে হয়। সাধারণ যাত্রীরা প্রতিদিন এই সড়কে ভোগান্তির শিকার।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া  উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু সরদার এ প্রতিনিধি কে বলেন, বেশিরভাগ কুমিল্লা থেকে আসা সিএনজিগুলো অতিরিক্ত বাধা আদায় করে থাকেন, তবে এটা ঠিক নয়। আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুমিল্লা শ্রমিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ করব যেন সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তি শিকার না হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজারুল ইসলাম এ প্রতিনিধি কে বলেন, আমি এই বিষয়টি আজই দেখছি এবং যারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।সংবাদ প্রকাশঃ ১৭১১২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ