কুমিল্লা চান্দিনার মাইজখারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাংচুর; আহত ৭

সিটিভি নিউজ।।   নেকবর হোসেন   কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান ===
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বৃহত্তর মাইজখার ইউনিয়ন বিভাজন করাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এসময় মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি শাহ্ সেলিম প্রধান এর ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সজল জানান- ৪০ সহ¯্রাধিক ভোটার অর্ধ্যুষিত মাইজখার ইউনিয়ন বিভাজনের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ সেলিম প্রধান এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছিল আলোচনা।
সভার সমাপ্তি লগ্নে সভাপতির বক্তব্য চলাকালিন সময়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ খান সেন্টু উস্কানিমূলক কথা বললে সেলিম চেয়ারম্যান সমর্থিত রাসেল নামের অপর এক কর্মী সেন্টুর উপর চড়াও হয়। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে ইউনিয়ন বিভাজন সভাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়।
আহতরা হলো- ইউনিয়ন পরিষদ দফাদার মাধব, দিদার, ফয়েজ, মাহফুজ খান সেন্টু আজগর, সোহাগ, জুয়েল।
এছাড়া ভাংচুর করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ সেলিম প্রধান এর ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে চান্দিনা থানা পুলিশ ও জেলার রিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে মাইজখার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন জানান- আমি ওই সভায় ছিলাম না। আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার বক্তৃতায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে উস্কানিমূলক কথা বললে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক তার প্রতিবাদ করে। এসময় সেলিম চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী হামলা চালায়।
মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ সেলিম প্রধান জানান- ইউনিয়ন বিভাজন করতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন এর প্রস্তাবে আমি সহমত হওয়ায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জামাল ও সাধারণ সম্পাদক জসিম যে আমাদের উপর হামলা করতে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল তা আমার জানা ছিল না। আমার সমাপনী বক্তৃতা চলাকালিন সময়ে জামাল গ্রæপের সেন্টু নামের এক যুবলীগ নেতা উস্কানিমূলক কথা বলার সাথে সাথে মারামারি শুরু হয়।
আমি দ্রæত আমার অফিস কক্ষে চলে গেলেও তারা আমার উপর হামলা করতে কক্ষের দরজা ও দেওয়ালে হাতুরি পেটা করে। আমার পরিষদের দফাদারসহ আমার ৩ কর্মীকে মারাত্মক আহত করে। এছাড়া আমার স্ত্রী আমার গাড়ি নিয়ে করতলা গ্রামের বেড়াতে গেলে জামাল গ্রæপের লোকজন সেখানে গিয়ে আমার গাড়ি ভাংচুর করে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- ঘটনার পরপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি। উভয় পক্ষের লোকজন ওই মারামারিতে যুক্ত হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। (ফাইল ছবি)   সংবাদ প্রকাশঃ  ০১১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ