কুমিল্লা কুসিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রিফাত-সাবেক মেয়র সাক্কু-নতুন মুখ কায়সারের ত্রিমুখী লড়াই

 সিটিভি নিউজ।।      খন্দকার দেলোয়ার হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ জানান===
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটিকরপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা হিসাব-নিকেষ। আবারো কি ৩ বারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু হেট্্িরক করতে যাচ্ছেন,নাকি নিযাম উদ্দিন কায়সার কুসিক মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আবার কুমিল্লা মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আক ম বাহাউদ্দিন বাহারের আস্থাভাজন আ’লীগের মনোনিত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীক মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি নিযাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রভাবশালী এই তিন প্রার্থী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে পথসভা,উঠান বৈঠক ,গনসংযোগ প্রচারনায় ব্যস্তসময় অতিবাহিত করছেন। এই প্রচার প্রচারনা করতে গিয়ে ভোটারদের মাঝে দিচ্ছেন আগামীর উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি । অপরদিকে বিশ্রি ভাষায় কাদা ছোড়াছুড়ি করে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পথসভায় । এদিকে এখানে আ’লীগের নৌকার প্রার্থীকে দুটি নির্বাচনে স্থানীয় গ্রুপিংয়ের জেরে একাংশের অনুগতরা দুবারের মেয়র বর্তমান স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী এখনো নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে প্রচারপ্রচারনায় মাঠে দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থীর জন্য শক্ত প্রতিদ্বন্ধি সদ্য সাবেক মেয়র নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মনিরুল হক সাক্কু। তিনি অনেকটা বেকায়দায় আছেন। স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিস্কৃত অপর স্বতন্ত্র মেয়র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিযাম উদ্দিন কায়সারের প্রার্র্থীতা । কায়সার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীনুর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিশ্লেষকদের মতে এবার এখানে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মাঠের চিত্র ততই বদলাচ্ছে। স্থানীয় আ’লীগের একাধিক সুত্র মতে আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটিকরপোরেশনের নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও সদর আসনের এমপি হাজী বাহারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা। সুত্র আরো জানান, নৌকতার প্রার্থী রিফাতকে মেয়র নির্বাচিত করতে না পারলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। গণসংযোগে প্রচার প্রচারনায় মাছে নেই আ’লীগের প্রয়াত নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যক্ষ আফজল খানের পরিবারের সদস্যরা। নৌকার প্রার্থী বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ পথসভায় রিফাতের অনুসারী ছাড়া অন্যদের দেখা যাচ্ছেনা। নৌকার পার্থী আরফানুল হক রিফাত সাংবাদিকদের জানান, হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহারের নেতৃত্বে মহানগর আ’লীগ এবং নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ণৌকার পক্ষে একাট্টা রয়েছেন। সংরক্ষিত আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে রয়েছেন বলে জানান রিফাত। বিএনপি’র বহিস্কৃত সাবেক মেয়র ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। সাক্কু ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভায় পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমি দুর্নীতিবাজ হলে তিনি বড় দুর্নীতিবাজ। তিনি আরো বলেন,আমি মেয়র থাকা অবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সাৎ যদি করে থাকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সরকারের বিভিন্ন দফতর,গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে পেলে আমার বিরুদ্ধে মামলার স্তুপ পড়ে থাকতো। পুনরায় মেয়র প্রার্থী হতে পারতাম না। সিটিকরপোরেশন এর ২৭ টি ওয়ার্ডের যে উন্নয়ন করেছি তার প্রমান নগরবাসী। উন্নয়নের শতভাগ কাজ করতে পারিনি। তার ব্যর্থতা আমার, তবে ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। বাকী ৩০ ভাগ কাজ করার জন্য নগরবাসীর কাছে ভোট চাচ্ছি। আমি মেয়র প্রার্থী হওয়ার কারণে দল থেকে বহিস্কার হয়েছি, আমি নির্বাচিত হলে নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়র প্রার্থী সাক্কু দুই মেয়াদে মেয়র থাকাকালে সরকারী দলের সাথে মিলেমিশে কাজ করেছেন, ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিযাম উদ্দিন কায়সার মেয়র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি অংগসংগঠনের নিরব সমর্থন নিয়ে প্রচারনার মাঠেও ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।তিনি বলেন, এবারের সিটিকরপোরেশনের নির্বাচনে নগরবাসী দুর্নীতিবাজদের বয়কট করবে। আগামী উন্নয়নের জন্য মেয়র নির্বাচিত করতে ভুল করবেনা নগরবাসী। এদিকে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারকে সংসদীয় এলাকা থেকে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একাধিক মতবিনিয়ম করায় আচরন বিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশনার পর নৌকার সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এদিকে নির্বাচন কমিশন অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে সবগুলো ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজও সম্পন্ন করেছে। ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটিতে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯’শ ২০ জন। এরমাঝে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮’শ ২৬ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া ) ভোটার রয়েছে প্রায় ৫০ জন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৪-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ