কুমিল্লায় শীতকালীন সবজির দাম এখনো চড়া 

সিটিভি নিউজ।।     মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার,   স্টাফ রিপোর্টার,কুমিল্লা থেকে====
শীতকালকে বলা হয় সবজির মৌসুম। যার কারণে প্রতি বছরই শীত এলে সকল সবজিরই দাম কম থাকে। অনেক সময় সরবরাহও বেড়ে যায় অধিক হারে, তখন নামমাত্র মূল্যে সবজি কিনে পুরো শীতের মৌসুমেই ক্রেতারা থাকেন স্বস্তিতে। কিন্তু এ বছর সবজির বাজার হাঁটছে উল্টো পথে। সব সময়ের মতো চলমান শীতেও নানা অজুহাতে কমছে না সবজির দাম, বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়তই।
কুমিল্লাতেও এবার ভরা মৌসুমে চড়া সবজির বাজার। ঘন কুয়াশা আর শীতের বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতিসহ বিভিন্ন অজুহাতে ভরা মৌসুমেও কিছুতেই কমছে না সবজির দাম। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারাও।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের বাজার, কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ, নিউ মার্কেট, রাণীর বাজার, রাজগঞ্জ বাজার, চকবাজার, বাদশা মিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি, বরং কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। ভরা মৌসুমে সবজির এই দাম বৃদ্ধিকেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন ভোক্তারা। এছাড়া পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের দামের পার্থক্য রয়েছে অনেক। আবার নগরীর বাজারের সঙ্গে গ্রামের বাজারগুলোরও দামে পার্থক্য রয়েছে।
শীতের সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম চড়া
প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫৯ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪৫ টাকা,লাউ প্রতি পিস ৫০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম টমেটোর কেজিও ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কুমিল্লা নগরীর এসব কাঁচা বাজারের দোকানিদের ভাষ্য, এ বছর পাইকারি বাজারেও সবজির দাম বেশি। এছাড়া যাতায়াত খরচ, খাজনা, পরিবহনে চাঁদা, আর সম্প্রতি ঘন কুয়াশা আর শীতের বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে পড়ার কারণে ভরা মৌসুমে অতিরিক্ত দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, ‘গত বছরও ২-৩০০ টাকায় এক ভ্যান তরকারি পাওয়া যেত। এ বছর ওই টাকায় ৬/৭ কেজি তরকারিও কিনতে পারি না। যার ফলে কাস্টমারদের এই সময়ের সবজি খাওয়ার চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।’
মাসুদ আলম নামে একজন বলেন, ‘কুমিল্লার বৃহৎ কাঁচা বাজার হলো নিমসার বাজার। ওই বাজার থেকে এনেই পুরো জেলার বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সবজি বিক্রি করেন। অনেক সময় দেখা যায় তারা যেই দামে পাইকারি কিনে আনেন, তার দাম খুচরা বাজারে দ্বিগুণ হয়ে যায়। নিত্য পণ্যের মতো শীতের সবজিও এখন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ান ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘পচনশীল দ্রব্য বা কাঁচামাল স্থান, কাল ভেদে দামের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ টাকার বেশি লাভ করা যাবে না। যদি নির্দিষ্টভাবে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে আমারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়া আমরা নিজেরাও প্রতিনিয়ত এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং বাজার মনিটরিং করছি।’সংবাদ প্রকাশঃ  ১৯-০২-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ