কুমিল্লায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া,একজনকে আটক

সিটিভি নিউজ ।।     নেকবর হোসেন    কুমিল্লা প্রতিনিধি  জানান ==
কুমিল্লা নগরীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার বেলা ২টার দিকে নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা বিদ্যুৎ অফিস গলিতে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া একজনকে আটক হয় বলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো.কায়সার হামিদ জানান।
আটক শহিদুর রহমান সজিব নগরীর মুরাদপুর মৌলভীপাড়া এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অধিপত্য বিস্তারের জেরে নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা পশ্চিম পাড়া এলাকার মালু মিয়ার ছেলে বিএনপি কর্মী আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্ব স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী রবিন আহমেদ ও জালাল উদ্দিনের লোকজনের উপর হামলা করা হয়। এ ঘটনার পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই অবস্থা।
ওই এলাকার মৃত মাহে আলমের ছেলে রবিন এ বিষয়ে বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে রোববার বেলা ২টার দিকে আবদুর রাজ্জাক অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আর তার অনুসারী সজিবের হাতে ছিল বিদেশী পিস্তল। এছাড়া বাকি সকল সন্ত্রাসীদের হাতে ছিল দেশীয় রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র। তারা আমিসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। একজনকে কুপিয়েছে। এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান কুপিয়ে মালামাল লুটপাট করেছে।
রাজ্জাক একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে তিনি আরও বলেন, “রাজ্জাক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। তিনি চান এলাকার সবাই তার কথায় চলবে। রাজ্জাক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করলেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। কিন্তু আমি আর জালাল তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছি বলে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন। রাজ্জাকেই তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
রবিনের অভিযোগ, কিছুদিন আগেও রাজ্জাকের লোকজন তার উপর হামলা চালিয়ে পায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, “আমি কোন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। আমি ঠিকাদারি করি। আর আমি কোন অস্ত্রের মহড়াও দেই নাই। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আর আমার লোকজন কারও উপর হামলা করেনি।
পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন,অস্ত্র নিয়ে মহড়ার একটি ভিডিও হাতে পাওয়ার পর একজনকে আটক করেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ঘটনার সময় রাজ্জাক ও সজিবের হাতে পিস্তল ছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের বাকিদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ তারা পাননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সংবাদ প্রকাশঃ  ১৬-০৩-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ